× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা চক্রের হোতা কামাল কারাগারে

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
৩ জুন ২০২০, বুধবার

লিবিয়ার নিজদা শহরে ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা কামাল উদ্দিন ওরফে হাজী কামালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল কামালকে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ভাটারা থানা পুলিশ। এসময় তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনের করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়াল নোমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে সোমবার  তাকে গ্রেপ্তারের পর মিডিয়ার সামনে আনে র‌্যাব।  র‌্যাব জানায়, বিদেশ পাঠানোর পথে চক্রটি পদে পদে  লোকদের জিম্মি করতো। সেই সঙ্গে নির্যাতন চালিয়ে পরিবারের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো। ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে তাদের অনেকেই এই কামালের মাধ্যমে লিবিয়ায় পাড়ি দিয়েছিল।
এমন তথ্য প্রমাণ তারা পেয়েছে। ইউরোপে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে  নৌ-পথ, দুর্গম মরুপথ দিয়ে পাচার করা হতো। অবৈধ অভিবাসীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় এবং শারীরিক নির্যাতন করতো চক্রটি। গ্রেপ্তার কামাল দালাল চক্রের অন্যতম মূলহোতা বলে দাবি করেছে র‌্যাব। বাহিনীটি বলছে, সে একযুগে ধরে অবৈধভাবে লিবিয়াতে  প্রায় চার’শ বাংলাদেশিকে পাঠিয়েছে। লিবিয়া ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে মানবপাচার করতো কামাল। টাইলস কাজে  প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়া পাঠাতো কামাল:  মানবপাচারকারী কামাল একজন টাইলস্‌ কন্ট্রাক্টর। এই কারণে অনেক টাইলস শ্রমিকদের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শ্রমিকদের লিবিয়া  যেতে  প্রলোভন  দেখাতো। বিশেষ করে-দেশে যারা দৈনিক ৫শ’-৮শ’ টাকা আয় করে তারা লিবিয়াতে গেলে ৫০ হাজার-৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারবে। তার আশ্বাসে অনেকে  সেখানে  যেতে রাজি হতো। কামাল  প্রথমে তাদের কাছ  থেকে এক লাখ টাকা নিতো, আর লিবিয়া  পৌঁছে বাকি ৪ লাখ টাকা কাজ করে দিতে বলতো। এই ফাঁদে পা দিয়ে যারা সেখানে যেতো, সেখানে পৌঁছার পর চলতো নির্মম নির্যাতন।  সেই সঙ্গে পাচারকারী দলের সদস্যরা জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় এবং শারীরিক নির্যাতন করতো। ভুক্তভোগীদের জিম্মি করে তাদেরকে নির্যাতন করা হতো। সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠাতো। এছাড়া মোবাইলে পরিবারগুলোর সঙ্গে  যোগাযোগ করে টাকা আদায় করতো। টাকা দিতে না পারলে পাচারকারীরা হত্যা করে লাশ সাগরে ফেলে দিতো। লিবিয়ায় হত্যাকাণ্ডের পর নিহত ও আহতদের পরিবারের সবাই হাজী কামালকে মুক্তিপণের টাকা দিয়েছে বলে দাবি র‌্যাবের। তারা বলছে, মুক্তিপণের টাকা কামালকে দিয়েও কেউ সন্তানদের ফেরত পাননি। এছাড়া তাকে  গ্রেপ্তারের সময় পাওয়া ডায়রিতেও টাকা নেয়ার তথ্য মিলেছে। তাছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে নিজেও স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে সোমবার রাতে র‌্যাব বাদী হয়ে ভাটারা থানায় পাসপোর্ট আইনের ১১(৩) ধারায় মামলা করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর