পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাগামহীন ভুতুরে বিল শিরোনামে দৈনিক মানবজমিন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর তড়িঘড়ি করে ৫৩৯৭৯ টাকার বিদ্যুৎ বিল হয়ে গেল ১৯৬৬ টাকা।
জানা যায়, বরগুনার বামনা উপজেলার ঔষধ ব্যবসায়ী মো. মোস্তফা কামালের বাসায় ব্যবহৃত ৭৩৬৫৬৭ নং মিটারে পূর্ববতী রিডিং ছিল (১৩.০৪.২০২০) ২৫৭৮০, বর্তমান রিডিং (২৫.০৫.২০২০) ৩০২০০ এবং ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ৪৪২০। বিলম্ব মাশুলসহ বিদ্যুৎ বিল করা হয় ৫৩৯৭৯ টাকা। বাস্তবিক পক্ষে ০১.০৬.২০২০ তারিখে তার মিটারে রিডিং রয়েছে ২৫৯৭৮, পূর্ববতী রিডিং ছিল ২৫৭৮০। সে অনুযায়ী ১৯৮ ইউনিট ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ মিটারে উল্লেখিত রিডিং এর চেয়ে ৪২২২ ইউনিটের বাড়তি বিল করা হয়।
এ ঘটনায় দৈনিক মানবজমিন এ প্রমানসহ বিস্তারিত উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। সংবাদ প্রকাশের চার ঘন্টা পর পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোক গ্রাহকের বাসায় এসে মে মাসের বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়ার জন্য ১৯৬৬ টাকার নতুন বিল তৈরী করে দিয়ে যান।
বিষয়টির জন্য পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজার মো. মফিজুর রহমান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যে কোন প্রয়োজনে আমার সহযোগিতার সবসময় আপনারা পাবেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. মোস্তফা কামাল বলেন, সংবাদ প্রকাশের কারণে বিষয়টি এত দ্রুত সমাধান হবে ভাবতেও পারিনি, মানবজমিন পরিবার কে ধন্যবাদ।
তাদের জন্য আমাকে ভুতুরে বিল পরিশোধ করতে হয়নি।