× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামের জন্য তৈরি হচ্ছে ‘ক্যারাভান হসপিটাল’

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৩ জুন ২০২০, বুধবার

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য  তৈরি হচ্ছে ক্যারাভান হসপিটাল। তেল ও গ্যাসকূপ অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান কেএন হারবাল কনসোর্টিয়াম এই হসপিটাল তৈরি করছে। রাজধানী ঢাকার মিরপুর বাঙলা কলেজ ক্যাম্পাসে ৭২ শয্যার এ হসপিটাল তৈরির কাজ চলছে। এমন তথ্য জানান হসপিটালের উদ্যোক্তা কেএন হারবাল কনসোর্টিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হাসান মাহমুদ চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রামের সন্তান। তিনি জানান, চীনের উহানের আদলে বাংলাদেশেও ক্যারাভান হসপিটাল তৈরি করা হচ্ছে। হাসান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকারকে আমরা ৭২ শয্যার বিষেশায়িত ক্যারাভান হসপিটাল নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল প্রফেসর ড. ইকবাল কবির আমাদের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন।
একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ক্যারাভান হসপিটাল স্থানান্তরের বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখছেন। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক ইতিমধ্যে ক্যারাভান হসপিটাল তৈরির পক্ষে মত দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে। এই হসপিটালের বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি যেকোনো স্থানে স্থানান্তর করা যায়। চীনের উহানেও ক্যারাভান হসপিটালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। কেএন হারবাল কনসোর্টিয়াম সূত্র জানায়, হসপিটাল করার উপযোগী তাদের ২৫টি ক্যারাভান রয়েছে। যার মধ্যে ১১টির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট এবং ১৪টির দৈর্ঘ্য ২০ ফুট। প্রতিটি ক্যারাভান সাড়ে ৮ ফুট প্রস্থ ও উচ্চতা ৯ ফুট। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য’র ১১টি ক্যারাভানে ৪টি করে ৪৪টি শয্যা এবং ২০ ফুট দৈর্ঘ্য’র ১৪টি ক্যারাভানে ২টি করে ২৮টি শয্যা রয়েছে।
এসব ক্যারাভানে মোট ৭২টি শয্যা রয়েছে। এছাড়া অফিস, কিচেন, প্রশস্ত ডাইনিং হল, সম্মেলন কক্ষ ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থাসমৃদ্ধ ক্যারাভান। ক্যারাভানগুলো সম্পূর্ণ স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কার্যকর ও উপযোগী। সবগুলো ক্যারাভানই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, আসবাবপত্র এবং অভ্যন্তরীণ পয়ঃনিষ্কাশন সম্বলিত। এই ক্যারাভানগুলোতে আইসিইউ, ভেন্টিলাইজেশন, নার্স স্টেশন, অপারেশন থিয়েটার রূপান্তর করে আনুষঙ্গিক চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করলে এখনই করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা শুরু করা যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা রোগীর আইসোলেশনের জন্য এ ধরনের হসপিটাল হবে খুবই উপযোগী। হসপিটাল স্থাপনের ব্যয় নির্বাহ করছে কেএন হারবাল কনসোর্টিয়াম। সরকারি নিয়ম মেনে সেখানে চিকিৎসা হবে। চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করবেন সরকারি কর্মকর্তারা। পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। সরকার চাইলে পরবর্তীতে এটির কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ করা যাবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শয্যা সংকটের এই মুহূর্তে ক্যারাভান হসপিটালের কার্যক্রম শুরু হলে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে। ক্যারাভান হাসপাতালে ইকুইপমেন্ট স্থাপনে সময়ও বেশি লাগার কথা নয়। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি নিজ উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে সেহেতু সরকারের উচিৎ দ্রুত এটি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসা।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এরমধ্যে নগরীর তিনটি সরকারি ও একটি বেসরকারি ফিল্ড হসপিটালে মোট ৪২০টি শয্যা রয়েছে। যার সবগুলোই পরিপূর্ণ। শয্যা না পেয়ে অনেক রোগী চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। কেউ কেউ ঢাকায় ছুটছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর