× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনার গ্রাফ লাল

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৩ জুন ২০২০, বুধবার

দেশে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্তের দিনে আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধ লাখ ছাড়িয়েছে। দ্রুত আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ায় বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশের মধ্যে ২১তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। শুরুতে কয়েকটি জেলা করোনা হটস্পট হলেও এখন বেশিরভাগ জেলাই সংক্রমণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বলতে গেলে পুরো দেশই এখন রেড জোনে পরিণত হচ্ছে। সংক্রমণ বাড়লেও রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার হারে এখনো বিশ্বের সর্বনিম্নে রয়েছে বাংলাদেশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত আড়াই মাসেই  করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭০৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো দুই হাজার ৯১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এটি সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫২ হাজার ৪৪৫ জন করোনা শনাক্ত হলেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ১২০ জন। গতকাল নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১২ হাজার ৭০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৩৩ হাজার ৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। তাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, রংপুর বিভাগে দুইজন, বরিশালে তিনজন, রাজশাহীতে দুইজন, ময়মনসিংহ বিভাগে একজন এবং সিলেট বিভাগে চারজন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৮ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছে নয়জন। তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৮৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬ হাজার ২৪০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৬৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও  হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৫০৬ জনকে। এখন পর্যন্ত  ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৮৫ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৭ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৮ হাজার ৫৪৫ জন।
কোভিড নাইন্টিন সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬৪ লাখ মানুষ। এতে সর্বোচ্চ সংক্রমিত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ উঠে এসেছে ২১ নম্বরে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে কাতার, বেলজিয়াম ও পাকিস্তান। পাকিস্তানে মোট আক্রান্ত ৮০ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। বেলজিয়ামে শনাক্ত হয়েছে ৫৮ হাজার ৬৫৭ জন। অপরদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৩ জনে। বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। তবে দেশটিতে সংক্রমণ একদমই কমে এসেছে। নতুন করে মৃত্যুর খবরও নেই।
বাংলাদেশে হঠাৎ করেই দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা।
উল্লেখ্য, দেশে প্রথম করোনার রোগী শনাক্ত হয় ৮ই মার্চ এবং প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ১৮ই মার্চ। প্রথমদিকে সংক্রমণের সংখ্যা কম থাকলেও গত দুই সপ্তাহ ধরে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর