চলমান করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে চাঙ্গা করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ সহায়তা বাড়ছে ২৩৭ মিলিয়ন ডলার। এর আগে এডিবির ঋণ সহায়তা ছিল ৫১৮ মিলিয়ন ডলার যা বাড়িয়ে ৭৫৫ মিলিয়ন ডলার করা হচ্ছে। এডিবি ট্রেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রামের (টিএফপি) আওতায় এ বিনিয়োগ করে। টিএফপি সম্প্রসারিত করেছে এডিবি।
মঙ্গলবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এডিবির টিএফপি আওয়ায় ঘোষিত ঋণ দেশের ১২টি অংশীদার ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। টিএফপির আওতায় গত বছর বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে এডিবির বিনিয়োগ ছিল ৪ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা (৫১৮ মিলিয়ন ডলার)। এবার তা বাড়িয়ে ৬ হাজার ৪১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা (৭৫৫ মিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ করছে এডিবি। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর দুই হাজার ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ বাড়াল তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর প্রভাবে অর্থনীতি বিশেষ করে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে অর্থের যোগান দিতে টিএফপির আওয়ায় ঋণ সহায়তা বাড়ছে।’
এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে, আমদানি-রপ্তানি বাড়বে এবং চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে তিনি আশা করেন এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অবদান রাখবে।
যেসব দেশে এএফপির কার্যক্রম সক্রিয় রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম বলে উল্লেখ করেন মনমোহন প্রকাশ।
তিনি জানান, অর্থ ছাড় শুরুর ১৮০ দিনের মধ্যে এর কার্যক্রম শেষ করা হয়। ফলে যেদিন অর্থ ছাড় শুরু করব, তার ১৮০ দিনের মধ্যে ৭৫৫ মিলিয়ন ডলার সম্পন্ন করা হবে।
মনমোহন প্রকাশ আরো বলেন, আমরা যে ঋণ দিচ্ছি, তাতে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই) সুবিধা পাবেন। আমরা যে অর্থায়ন বাড়ালাম, তাতে বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাসহ ব্যবসায়ীরা উপকার পাবেন। এডিবির এই টিএফপি বিশ্বের ২১টি দেশের ২৪০টি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ২৪০টি ব্যাংকের মাধ্যমে সেসব দেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ করছে এডিবি।