কুমিল্লায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৫ জনে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জেলার চান্দিনায় ১ জন, চৌদ্দগ্রামে ১জন, লাকসামে ২ জন এবং বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির , প্রকৌশলী এ কে এম মিজানুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লার ফোরটিস হাসপাতালে মারা যান।
কুমিল্লা জেলা সিভিল কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জন।
জানা গেছে, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রকৌশলী এ কে এম মিজানুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লার ফোরটিস হাসপাতালে সন্ধ্যায় মারা গেছেন। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাঁকে সেখানে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু আইসিইউতে নেওয়ার আগেই তিনি মারা যান ।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন রাত ১০ টায় তাঁর দাফন সম্পন্ন করে।
এদিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কুমিল্লা শহরের ধানমন্ডি রোডের ওহিদুর রহমান। ।
সোমবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার ঘন্টা খানেক পর তিনি মারা যান বলে জানান মৃতের স্ত্রী নুসরাত জাহান। গত ৫ দিন ধরে জ্বরসহ নানা উপসর্গ নিয়ে নমুনা পরীক্ষার জন্য তার স্ত্রী নুসরাত জাহান নানাস্থানে ধর্না দিয়েছেন । কিন্তু নমুনা টেস্ট করতে পারেন নি। সকালে
মৃত ওহিদুর রহমানকে কুমিল্লার দেবীদ্বারের মোহনপুর ইউনিয়নের করুইন গ্রামে দাফন করে ছাত্রলীগের ৪১ সদস্যের টিম।
অপরদিকে জেলার লাকসামে মঙ্গলবার সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কান্তি সাহা (৪৬) ও লোকমান হোসেন (৪৪) নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী মারা গেছেন।
ইতোমধ্যে চৌদ্দগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার মারা যাওয়া কাজী আমির হোসেন (৭০) নামের এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ এসেছে।
এদিকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহসানুল হক মিলু জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলার চান্দিনার আবদুর রউফ মাস্টার (৮৫) নামে এক ব্যক্তি রোববার রাতে নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মারা যান। করোনা পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির ২ দফায়ই পজিটিভ ফলাফল আসে।