× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

থুতুর ব্যবহার নিয়ে যা বলেন ‘রিভার্স সুইং’-এর জনক

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
৩ জুন ২০২০, বুধবার

রিভার্স সুইং। ক্রিকেট শিল্প। যেটি শুরু করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার সরফরাজ নেওয়াজ। এরপর তিনি এটি শিখিয়েছিলেন ইমরান খানকে। ইমরান খান পরে ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসকে শিখিয়েছিলেন। যা দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে আধিপত্য বিরাজ করেছিলেন তারা।

করোনা পরবর্তী সময়ে মাঠে ক্রিকেট ফেরানোর জন্য বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি। তার মধ্যে অন্যতম, থুতু দিয়ে বল পালিশ করায় নিষেধাজ্ঞা। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসলেও শীঘ্রই তা চলে আসবে ধারণা ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের।
আইসিসি যদি লালা বা থুতু ব্যবহারের অনুমতি না দেয় সেক্ষেত্রে রিভার্স সুইং বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সরফরাজ নেওয়াজ। তিনি বলেন, ‘বলের পালিশ করা নিয়ে যে রকম কঠিন সব নিষেধাজ্ঞা আসতে চলেছে, তাতে রিভার্স সুইং শিল্পটাই না বিলুপ্ত হয়ে যায়! বলে যদি থুতু বা লালা দিয়ে পালিশ না করা যায়, তা হলে রিভার্স সুইং হবে কী করে। রিভার্স বন্ধ হয়ে গেলে ফাস্ট বোলারদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।’

শেষ পর্যন্ত যদি বলে থুতু বা লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আসে পেসারদের সুবিধার কথা বিবেচনায় একটা বিকল্প উপায় বাতলে দিয়েছেন রিভার্স সুইংয়ের জনক, ‘আপাতত ঘাসের উইকেট তৈরি করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। না হলে পুরোপুরি ব্যাটসম্যানদের পক্ষে চলে যাবে ক্রিকেট। আবারো ক্রিকেটে বেড়ে যাবে স্পিনারদের ভূমিকা। বল যদি রক্ষণাবেক্ষণ না করা যায়, রিভার্স হবে না। তখন পুরনো বলে প্রভাব কমবে পেসারদের, ভরসা হবে স্পিনাররাই।’ পেসারদেরও দিয়েছেন সাফল্য পাওয়ার টনিক, ‘কাটারের উপরে বেশি নির্ভর করতে হবে। স্লিপে ফিল্ডার রাখায় বেশি গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে। বলের গতিতে বৈচিত্র এনে ব্যাটসম্যানকে সমস্যায় ফেলতে হবে।’

কৃত্রিম পদার্থ দিয়ে বলের পালিশ ধরে রাখার সম্ভাবনা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সরফরাজ বলেন, ‘ঘাম, থুতু, লালা- এসব দিয়েই এতদিন বলের পালিশ করে এসেছে বোলাররা। তাতে পুরনো বলে রিভার্স সুইং হয়েছে। কৃত্রিম পদার্থ দিয়ে একই কাজ হবে? আমি নিশ্চিত নই।’

‘রিভার্স’-এ প্রথাগত সুইংয়ের উল্টোটা হয়। যেমন, ডানহাতি বোলার আউটসুইংয়ের সময়ে পালিশ করা দিকটি বাইরের দিকে (সেলাইয়ের উপরে ধরা আঙুলের ডান দিকে) রাখে। রিভার্স সুইংয়ে এভাবে ধরলে বলটি ইনসুইং হয়ে যাবে। শুধু সেলাইকে ঘুরিয়ে দিতে হবে স্লিপ থেকে লেগস্লিপের দিকে। যেহেতু প্রত্যেক ব্যাটসম্যান চেষ্টা করেন বোলারের হাত দেখে খেলার, রিভার্স সুইং হলে তারা বিভ্রান্ত হন, বল কোন দিকে বাঁক নেবে। এবং, উচ্চ গতিতে খুব দেরিতে সুইং করে বলে রিভার্স সামলানো অনেক বেশি কঠিন।

প্রথম যখন রিভার্স সুইং নিয়ে এসেছিলেন সরফরাজ। তখন পশ্চিমারা এটিকে প্রতারণা বলেই আখ্যায়িত করেছিল। সরফরাজের মতে, রিভার্স সুইংকে আগে প্রতারণা বলা হলেও ইংলিশরা শিখে ফেলার পরেই এটাকে শিল্প হিসেবে ধরা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর