× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টঙ্গী প্রেসক্লাবে হামলার মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী থেকে
৩ জুন ২০২০, বুধবার

টঙ্গীতে পুলিশের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাসহ একাধিক মামলার আসামিরা। রহস্যজনক কারণে আসামিদেরকে গ্রেপ্তার না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদীকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে বাদী। আসামিরা পুলিশের নাকের ডগায় বুক ফুলিয়ে ঘোরাফেরা করছে বীরদর্পে। পুলিশের উপস্থিতিতে যাচ্ছে সভা সেমিনারেও। পুলিশ বলছে আসামীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জীবনের নিরাপত্তার হুমকি থাকায় আসামীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী হাসান মামুন স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় দীর্ঘদিন সুনামের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছে। গত ‘২০১৯ সালে টঙ্গী প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন। দায়িত্ব পালন করে আসছেন সুনামের সাথে। মামলার ১নং আসামি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার চর কাকরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এম আর নাসির ওরফে নাসির ও ময়মনসিংহ জেলার বাগলা থানার দীঘলবাগ গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে শেখ মো. আজিজুল হক ইর্ষাণি¦ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে হাসান মামুনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। এতে সে আত্মীয়-স্বজন ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়। এঘটনায় টঙ্গী প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ হাসান মামুন তাদের বিরুদ্ধে গত ১১ই মার্চ ২০২০ইং তারিখ টঙ্গী পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে ২০১৯ইং সালের ১৪ অক্টোবর টঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে খুন করতে এসে না পেয়ে উল্লেখিত আসামিগণসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন প্রেসক্লাব ভাংচুর ও লুটপাট চালায় এতে ক্লাবের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এসময় একজন সাংবাদিকও আহত হয়। আহত সাংবাদিকের সাথে থাকা নগদ প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। এর ফলে সারাদেশের সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি তোলা হয়। এ ঘটনায় ওই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় চুরি, ছিনতাই মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারপরও আসামিগণ পুলিশের সাথে দিনরাত ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
এবিষয়ে মামলার বাদী টঙ্গী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবাল ও কোষাধ্যক্ষ হাসান মামুন বলেন, এম আর নাসির ও শেখ আজিজুল হক আমাদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আসামিরা প্রেসক্লাবের সভাপতিকে প্রাণনাশের হুমকিসহ দেশের বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছে। আসামিরা পুলিশের সঙ্গে ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসান ও এসআই নেওয়াজ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে আসামিদেরকে গ্রেপ্তার না করার পাঁয়তারা করছেন। আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রশাসনের উচ্চমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল হক বলেন, আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর