কুড়িগ্রামের রাজারহাটে হাফেজ স্বামী ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে তার স্ত্রীকে। এ লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে, ২রা জুন মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের নীলেরকুটি চওড়া গ্রামে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩রা জুন বুধবার সকালে ঘাতককে আটক করেছে। এলাকাবাসী জানান, নীলেরকুটি চওড়া গ্রামের বাশারত উল্লার কন্যা বিউটি বেগম (২৫)কে ৬ বছর আগে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের মানাবাড়ি কালিরহাট গ্রামের আঃ মতিনের হাফেজ পুত্র হাবিবুর রহমান (২৮) এর সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ওই হাফেজ তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিল। এরই মধ্যে তাদের কোলে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। দিন দিন স্বামীর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছিল। গত ১৫ রমজান হাফেজ হাবিবুরের নির্যাতনে বিউটি বেগম আহত হলে বাবার বাড়ির লোকজন গিয়ে তাকে নিয়ে আসে। ঘটনার দিন ২রা জুন মঙ্গলবার রাতে বিউটি বেগম ও তার ছোট বোন বিথী বেগম (১৩) একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ১১টার দিকে বিথী বেগম ঘুম থেকে উঠে বিউটি বেগমকে পাশে শুয়ে থাকতে না দেখে খোঁজাখুুঁজি শুরু করে। পরে বাড়ির লোকজন পার্শ্ববর্তী একটি ভুট্টা ক্ষেতে গোঙ্গানির শব্দ শুনে ছুটে যায়। সেখানে বাড়ির লোকজন বিউটি বেগমকে গলাকাটা রক্তাক্ত আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে দ্রুত রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।



প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃতের ছোট বোনের ধারণা, তার স্বামী টিনের ঘরের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়ে মুখ বেঁধে বাইরে নিয়ে গিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে ছুরি দিয়ে গলা কেটে দেয়। খবর পেয়ে ৩রা জুন বুধবার রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে। বুধবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে পুলিশ ঘাতক হাফেজ হাবিবুর রহমানকে নাজিম খান এলাকা থেকে আটক করেছে বলে পুলিশ জানায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু সরকার বলেন, থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে এবং আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোটিভ উদ্ধারে পুলিশি তদন্ত অব্যাহত হয়েছে।