আচমকাই ভারত জুড়ে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছিল। চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল নানা বিধিনিষেধ। তবে এটা করার সমং বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া অভিবাসী শ্রমিকদেও কথা মাথায় রাখা হয় নি। আরফ ল যা হবার তাই হয়েছে। একদিকে কাজ বন্ধ, অন্যদিকে হাতে নেই অর্থ। এক অবর্ণনীয় দুর্দশায় কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মরীয়া হয়েই ঘওে ফেরার চেষ্টা করেছেন অভিবাসী শ্রমিকরা। কিন্তু এই সব শ্রমিকদেও হাতে নগদ অর্থ দেবার জন্য অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে শ্রমিক ইউনিয়নগুলি বাওে বাওে আরজে জানানো সত্ত্বেও ভারত সরকার কোনও সদর্থক ব্যবস্থাই নেয় নি। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে অভিবাসী শ্রমিক ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও কারিগরদের অবর্ণনীয় দুর্দশার কথা বললেও নগদ দেবার কথা উল্লেখ করেন নি।
এবার সেই দাবিতেই সোচ্চার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। লকডাউন এবং কর্মহীনতার জেরে যে প্রবল আর্থিক সঙ্কটে শ্রমিকরা, তার নিরসনে কেন্দীয় সরকারকে এগিয়ে আসতে বলেছেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি অভিবাসী এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের অবিলম্বে মাথা পিছু ১০ হাজার রুপি করে ‘এককালীন সহায়তা’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বুধবার টুইট করে মমতা শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্য নয়, গোটা দেশের শ্রমিকদের জন্যই এই দাবি জানিয়েছেন। অভিবাসী শ্রমিকদের সাহায্যের দাবি অনেকেই তুলছিলেন বটে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট ভাবে এককালীন কতটা সাহায্য দেওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে এদিন সেই প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কোথা থেকে সেই অর্থ দেওয়া যাবে তারও পথ বাতলে দিয়ে মমতা বলেছেন, পিএম কেয়ারস ফান্ডের একটি অংশ এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, লকডাউনের ধাক্কায় বেসামাল দেশের অর্থনীতি। আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে ঊর্ধ্বমুখী বেকারত্বের হারও। এমন পরিস্থিতিতে বড় ধাক্কা বেশি সহ্য করতে হচ্ছে অভিবাসী ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের। এর আগে অভিবাসী শ্রমিকদের হাতে সরাসরি অর্থ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দাবি তুলেছিলেন ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাবেক গভর্ণর রঘুরাম রাজনও।