করোনার প্রভাব পড়েছে ওমরাহ হজে। সামনে হজ মৌসুম। এখন পর্যন্ত হজ পালনে রয়েছে অনিশ্চয়তা। মহামারী করোনার গতি-প্রকৃতির উপর নির্ভর করছে এ বছর হজ হবে কি হবে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সৌদি সরকার হজের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে-এমনটাই আশা করছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল প্রতিনিধি বলছেন, এ নিয়ে অন্য কোনো দেশের করণীয় তেমন নেই। তবে হজ নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং সম্ভাব্য বিকল্প ভেবে নিবন্ধনসহ কিছু মৌলিক কাজ এগিয়ে রেখেছে ঢাকা। দফায় দফায় সময় বাড়ানো এবং মানুষকে আশ্বস্ত করার প্রেক্ষিতে ৬৫ হাজারের মত বাংলাদেশি (সরকারি বেসরকারি মিলে) পবিত্র হজ পালনের আগ্রহ দেখিয়েছেন। তারা নির্ধারিত অর্থ জমা করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
ওই বাংলাদেশিরা আশায় রয়েছেন, হজের আগেই প্রাণঘাতী করোনা দুনিয়া থেকে বিদায় হবে এবং তারা ধর্মীয় বিধান পালনে সৌদি যেতে পারবেন। ২০২০ সালের জন্য হজে বাংলাদেশের কোটা ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজারের মত।
ইন্দোনেশিয়া সরকার পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটির নাগরিকদের এবারের হজযাত্রা বাতিল করেছে। পরিস্থিতি যেভাবে অবনতি হচ্ছে তাতে সৌদি আরব হজ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় এটিও একটি বড় বিষয়। পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশ সরকার পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ওদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ডেস্কের সরবরাহ করা তথ্য মতে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে আগ্রহী প্রত্যেকে ১ লাখ ৫১ হাজার ৯’শ ৯০ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কারণে বাকী অর্থ জমা না দেয়ার আগাম নোটিশ দেয়া হয়েছে। তাদের দফায় দফায় সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অতিরিক্ত অর্থ জমা করলে সরকার কোনো দায় নেবে না। কোন এজেন্সি নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত অর্থের অতিরিক্ত দাবি করলে তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতেও বলা হয়েছিল।
(বিস্তারিত পড়ুন শুক্রবারের প্রিন্ট ভার্সনে)