কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধুমাত্র ১ নম্বর ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া বাকী ১০টি ওয়ার্ডকে করোনা সংক্রমণের ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপর দুই ওয়ার্ড কে ইয়োলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত এসব ওয়ার্ডে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে কমিটি থাকবে। কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর হবেন কমিটির প্রধান। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে যুবক ও ছাত্রদের’কে নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক টিমও গঠন করা হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে আজ সকালে অনুষ্ঠিত ZOOM মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট, সেনাবাহীনির সদস্যবৃন্দ, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ‘রেড জোন’ চিহ্নিত এলাকায় কোন লোক বাহির ও প্রবেশ করতে পারবেন না। এলাকা গুলো সম্পুর্ন অবরুদ্ধ থাকবে।
প্রয়োজনে সেসব এলাকার গরীব, অসহায়, নিন্ম আয়ের মানুষকে সরকারিভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।
‘ইয়েলো জোন’ চিহ্নিত ২টি ওয়ার্ডের সবকিছু সীমিত আকারে চলবে, সবার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে, সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে অন্যান্য নির্দেশনা মানতে বাধ্য করা হবে এ ২টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।
সভায় একইভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রামণের সংখ্যার উপর ভিত্তি করেই কক্সবাজার পুরো জেলাকে ৩টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলার ৮টি উপজেলাকে ইউনিয়ন ভিত্তিক এবং ৪টি পৌরসভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এই বিভাজন করা হয়। বিভাজনে যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড করোনায় বেশী সংক্রামিত হয়েছে, সংক্রামণের আধিক্য রয়েছে বলে তথ্য রয়েছে, সেগুলোকে “রেড জোন”, যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড মাঝারী পর্যায়ে সংক্রামিত হয়েছে সেগুলোকে 'ইয়েলো জোন' এবং যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে করোনা একেবারে সংক্রামিত হয়নি সেগুলোকে নিরাপদ রাখতে “গ্রীণ জোন” এলাকা হিসাবে ভাগ করা হয়েছে।