× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাঙ্গলকোটে করোনার ভুল রিপোর্টে ক্ষতি ৭০ পরিবারের

বাংলারজমিন

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
৪ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় ভুল রিপোর্টের ফলে ৭০ পরিবারে নেমে এসেছে মারাত্মক বিপর্যয়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দেয়া ভুল রিপোর্টের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স দীর্ঘ ১৪ দিন যাবৎ লকডাউন থাকায় উপজেলার ৬ লাখ মানুষ চিকিৎসা বঞ্চিত হন। এদিকে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম হতে সংগ্রহ করা ৬০৪ জনের নমুনার মধ্যে ৭০ ভাগই কুমিল্লা মেডিকেলের রিপোর্ট বলে জানা গেছে। এছাড়া, এখনো ৯২ জনের রিপোর্ট পক্রিয়াধিন। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে ৬৯ জনের। তাদের অন্তত ৫০ জনেরই পরিক্ষার রিপোর্ট কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: দেব দাশ দেব। তিনি বৃহস্পতিবার নাঙ্গলকোটে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স মিলনায়তনে এক মত বিনিময় সভায় এসব তথ্য দেন।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটের কারনে স্বাস্থ্য সেবা, রোগ নির্ণয়ের  বিভিন্ন মেশিন ও রোগী পরিবহন সেবা বিঘ্নিত। স্থানীয় জনগণের ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে বৃহস্পতিবার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স খুলে দেয়া হয়। হাসপাতালের ২৩ চিকিৎসক ও কর্মচারীর নমুনা গত ২০ মে সংগ্রহ করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠালে ২৩ মে তাদের  পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এতে জেলা ব্যাপী বড় ধরণের আতংক দেখা দেয়। নাঙ্গলকোট সদর হাসপাতাল ও ৫টি বেসরকারী হাসপাতাল এবং ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৫টি কমিনিটি ক্লিনিক লকডাউন ঘোষণা করায় উপজেলার সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গত অর্ধ মাস থেকে অচল হয়ে পড়ে। এতে বিনা চিকিৎসায় গত ১৫ দিনে শতাধিক লোকের মৃত্যু ঘটে। কিন্তু ওই চিকিৎসক ও কর্মচারীদের নমুনা পুনরায় আই.ই.ডি.সি.আর এ পাঠালে গত বুধবার তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এতে করে উপজেলার ৭৯ করোনা আক্রান্ত রোগী’র নমুনাও পুনরায় আই.ই.ডি.সি.আর এ পাঠানোর দাবী উঠেছে করোনা পজেটিভ আসা ভূক্তভোগী পরিবার গুলো ও সেন্টার ফর সোসাল সার্ভিসেসের পরিচালক অধ্যক্ষ সায়েম মাহবুব ক্ষতি পূরণ দাবী করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর