× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা ঝুঁকি /ডেন্টাল ক্লিনিকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কী

প্রথম পাতা

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
৫ জুন ২০২০, শুক্রবার

দেশে দিন দিন করোনার ঝুঁকি বাড়ছেই। সংক্রমণের বিস্তারও ঘটেছে সর্বত্র। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডেন্টাল ক্লিনিক। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরের অলিগলিতে চলছে ডেন্টাল ক্লিনিকে প্র্যাকটিস। এতে করোনার ঝুঁকি বাড়ছে 
কয়েকগুণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে অত্যন্ত ঝুঁকি প্রবণ চিকিৎসা হিসেবে দেখছে। সংস্থাটির মতে, চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে  ডেন্টাল প্র্যাকটিস অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ। তাই খুব জরুরি না হলে আপাতত ডেন্টাল চিকিৎসা এড়িয়ে চলতে বলেছে।
কারণ মানুষের মুখের অভ্যন্তরে দাঁতের চিকিৎসা করেন ডেন্টাল সার্জনরা। এজন্য এতে ঝুঁকি দেখছেন বেশি। ঝুঁকির কারণে ভারতে ডেন্টাল ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দিয়েছে সে দেশের সরকার। কিন্তু বাংলাদেশে এ ব্যাপারে সরকারের কোন নির্দেশনা নেই। ডেন্টাল সোসাইটি ২/৩ মাস প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ থাকার দাবি করলেও এখন তারা প্র্যাকটিস করার আহ্বান জানাচ্ছেন। তৈরি করছেন গাইড লাইনও।
এ বিষয়ে  ঢাকা ডেন্টাল কলেজের (ডিডিসি) অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীর বুলবুল মানবজমিনকে বলেন, সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা চলছে। কিন্তু ক্লিনিকগুলো বন্ধ করার ব্যাপারে সরকার থেকে কোন নির্দেশনা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ডেন্টাল চিকিৎসাকে করোনার জন্য ঝু্‌ঁকিপূর্ণ বলেছে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশে লকডাউনে ডেন্টাল সেবায় প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ ছিল। এসময় টেলিমেডিসিন দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। সোসাইটির কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটি টেলিমেডিসিন দিয়ে চলছে।
তিনি আরো জানান, সরকারি পর্যায়ে ডেন্টাল চিকিৎসার গতি অব্যাহত থাকলেও বেসরকারি ক্ষেত্রে অর্থাৎ প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রে মূলত সামাজিক দূরত্বসহ ব্যবস্থাপত্র এবং টেলিমেডিসিনে সীমাবদ্ধ রয়েছে।  কোনো কোনো ক্ষেত্রে জরুরি চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে। করোনা ভাইরাস দুরারোগ্য ছোঁয়াচে রোগ হওয়ার কারণে ডেন্টাল সার্জনরা যেমন অতিমাত্রায় ভালনারেবল, ঠিক তেমনি একজন ডেন্টাল সার্জনও হতে পারেন কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের অন্যতম সহায়ক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির ২৭ জন সার্জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীর বুলবুল সবাইকে প্র্যাকটিসে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, তাদের নিজস্ব সংক্রমণ যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য তাদের একটি গাইড লাইন চুড়ান্ত করার কাজ চলছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে তা চুড়ান্ত হবে। জরুরি চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,  অসহনীয় দাঁত ব্যথা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, গাল ফোলা, যা চোখ ও গলা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে যাওয়া, দুর্ঘটনায় আঘাত অথবা দাঁত পড়ে যাওয়া ইত্যাদির সেবা দিচ্ছেন তারা। মহাসচিব আরও বলেন, গত ২ থেকে ৩ মাস প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ ছিল। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েন তাদের ১২ হাজার ডেন্টাল সার্জন। সোসাইটির পক্ষ থেকে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর