× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আজম খানের চলে যাওয়ার নয় বছর

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
৫ জুন ২০২০, শুক্রবার

একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলা পপ গানের সম্রাট আজম খান চলে যাওয়ার নয় বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১১ সালের এই দিনে (৫ জুন) রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মরণব্যাধি ক্যানসারে ভুগছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আজম খান। অবশেষে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে পরাজিত হন তিনি। পরের দিন সোমবার (৬ জুন) সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাকে সমাহিত করা হয় মিরপুরের বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনারে।
এই প্রথম 'পপগুরু'র মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ কোনো আয়োজন করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে শিল্পীর পরিবার। যার কারণ ইতোমধ্যে সবারই জানা। তবে দেশের শোবিজ তারকারা শিল্পীর সঙ্গে পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বার্তা দিচ্ছেন।
আজম খান ১৯৫০ সালে ঢাকার আজিমপুরে জন্মগ্রহন করেন। বাবা সরকারী কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে তার ছেলেবেলা কাটে আজিমপুরের ১০নং স্টাফ কোয়ার্টারে।
পরে ১৯৫৫ সালে ঢাকেশ্বরী স্কুলে ভর্তি হন। এর পরের বছরই পরিবারের সঙ্গে কমলাপুর চলে যান তিনি।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে আজম খান পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। সেসময় তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠির সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণসংগীত প্রচার করেন। পরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে তিনি ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ২ নং সেক্টরে পাকিস্তানি হানাদার শত্রু মোকাবিলায় যুদ্ধ করেন।
দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে আজম খান তার বন্ধুদের নিয়ে 'উচ্চারণ' নামের একটি ব্যান্ড দল গঠন করেন। সে বছরই বিটিভিতে 'এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে' এবং 'চার কালেমা সাক্ষী দিবে' শিরোনামের গান দু'টি গেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পান এই শিল্পী।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে 'রেল লাইনের ঐ বস্তিতে' গানটি গেয়ে সারা দেশে ব্যাপক হৈ চৈ ফেলে দেন আজম খান। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, 'ওরে সালেকা ওরে মালেক', 'আলাল ও দুলাল', 'দিদিমা', 'এক্সিডেন্ট', 'আসি আসি বলে', 'অভিমানি', 'হাইকোর্টের মাজারে', 'পুড়ে যাচ্ছে', 'থাকবো না যেদিন' প্রমুখ।
সংগীতের পাশাপাশি ক্যামেরার সামনেও অভিনয় করেছেন তিনি। একক নাটক 'হীরা কালা বাউল' (১৯৮৬), শাহিন-সুমন পরিচালিত সিনেমা 'গডফাদার' (২০০৩) এবং ক্রাউন এনার্জি ড্রিংকসের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় তাকে।
১৯৮৪ সালের ১৪ জানুয়ারি জোবেদা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আজম খান। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ইমা ও অরনী এবং ছেলে হৃদয় খান রয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর একাকী জীবন কাটান এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর