পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শ্বশুর শ্বাশুড়িসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করল জামাই।শ্বশুর চাঁনমিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা পেররন করা হয়েছে। গত ৪ জুন বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আন্দুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে চাঁনমিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম শুক্রবার ৫ জুন জামাতা জুলহাস গাজী(৩০)সহ তিন জনকে আসামী জরে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ভিকাখালী গ্রামের নাদের গাজী ছেলে মোঃ জুলহাস গাজীর সাথে পাশের আন্দুয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে মাহফুজার সাথে বিবাহ হয়। কিন্তু আট মাস পূর্বে স্ত্রী মাহফুজ স্বামীর সাথে অভিমান করে বাবার বাড়ি চলে আসে।ঘটনার দিন রাতে জুলহাস স্ত্রী কে নিয়ে আসার জন্য শ্বশুর বাড়ি যায়।স্ত্রী তার সাথে আসতে রাজি না হওয়া স্ত্রীসহ শ্বশুর, শ্বাশুড়ির সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।এক পর্যায়ে জামাতা জুলহাসের সঙ্গে থাকা চাপাতি দিয়ে শ্বশুর, শ্বাশুড়িকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এসময় বাড়ির আলমগীর হাওলাদার বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে জখম করে।এলাকাবাসী টের পেয়ে জামাতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে বরিশাল শেবাচিম পাঠান।মির্জাগঞ্জ থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, জুলহাসকে পুলিশ হেফাজতে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে । তার সাথে থাকা চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। সুস্থ হলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।।