× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জিপিএ-৫ পেয়েও দুশ্চিন্তায় অদম্য পাঁচ কন্যা

বাংলারজমিন

আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে
৫ জুন ২০২০, শুক্রবার

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ হিসেবে পরিচিত হালিমপুর ইউনিয়ন। সেই ইউনিয়নের হালিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ পাঁচজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে মানবিক বিভাগ থেকে ২ জন জিপিএ-৫ ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে একজন গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ ৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ পাওয়া এই পাঁচজনই মেয়ে এবং সবাই দরিদ্র পরিবারের।
বিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, হালিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার ১৩৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ১২২ জন পাশ করেছে। পাশের হার শতকার ৯১.০৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পাওয়া পাঁচ অদম্য কন্যার মধ্যে মুন্নী আক্তার গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং নূসরাত জাহান মৌ, রাদিয়া ইসলাম ইউসাদ, নি¤্রা আক্তার চৈতি ও অনন্যা আক্তার জিপিএ-৫ পেয়েছে।
তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া মুন্নী আক্তারের পিতা মো. আতাউর রহমান একজন কৃষক। তিন ভাই বোনের মধ্যে মুন্নী সবার ছোট। দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে তাকে লেখাপড়া করতে হয়েছে।
তার ভাল ফলাফলের পেছনে বাবা আতাউর রহমান ছাড়াও মা সালমা আক্তার ও বিদ্যালয়ের শ্রেণি শিক্ষক জহিরুল ইসলাম পরিশ্রম ও অবদান রেখেছেন।
মুন্নী জানায়, সে লেখাপড়া শিখে একজন চিকিৎসক হতে চায়। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় তাদের আর্থিক অবস্থা। বিত্তবান কিংবা হৃদয়বান মানুষের সহযোগিতা না পেলে তার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন অঙ্কুরেই শেষ হয়ে যাবে।
একই অবস্থা মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া রাদিয়া ইসলাম ইউসাদ এর। তার বাড়ি নগরভান্ডা গ্রামে। মাতা লুৎফুন্নাহার ও পিতা মো. রফিকুল ইসলাম কোন রকমে এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেও আর্থিক দুরবস্থার কারণে এখন তার উচ্চশিক্ষা অনিশ্চিত।
মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া আরেক অদম্য মেধাবী অনন্যা আক্তারের পরিবারও তার উচ্চশিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। সাতবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুস সালামের কন্যা অনন্যা আক্তার একজন আদর্শ শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে।
এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া নূসরাত জাহান মৌ ও নি¤্রা আক্তার চৈতি তারাও ভাল ফলাফল করে দারিদ্রতার কারণে এখন উচ্চশিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
হালিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিত্ত রঞ্জন শীল ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন বাচ্চু মিয়া জানান, প্রত্যন্ত এই জনপদের ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে শতকরা ৯১.০৪ ভাগ পাশ যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। তার মধ্যে রয়েছে অদম্য পাঁচ কন্যার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির কৃতিত্ব। এই অদম্য কন্যাদের উচ্চশিক্ষার জন্য পরিচালনা কমিটি ও স্কুল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করে যাবে বলেও তারা জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর