× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আম্ফানে লন্ডভন্ড তালতলীর ঝাউবন

বাংলারজমিন

খাইরুল ইসলাম আকাশ, তালতলী (বরগুনা) থেকে
৫ জুন ২০২০, শুক্রবার

আজ ৫ জুন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই পরিবেশ দিবসের দিনেও ভালো নেই বরগুনার সমুদ্র সৈকত নামক শুভসন্ধ্যাটি। অল্প কিছু দিন আগে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে আছ সৈকতের সাড়ি সাড়ি ঝাউবন গাছ গুলো। যার প্রভাবে সৌন্দর্য হারাতে ও পরিবেশের উপর প্রভার পড়তে পারে এমন ধারনা করছে সতেচন মহল। এদিকে প্রশাসন বলছে দ্রুত উদ্যেগ নেওয়া হবে শুভসন্ধ্যা সৈকতটির।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে ঝাউবন লাগানো শুরু থেকে যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় আসছে তাতে প্রায় ২০ হাজার ঝাউবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর আম্পানের কারনে প্রায় ৩ হাজার ঝাউবন বিলিন হয়ে গেছে। এত এই আম্পানে ঝাউবনসহ এই বনের প্রায় ক্ষয়ক্ষতি হয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মত।
শুভসন্ধ্যার পাশেই টেংরাগিরি বনে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডব চালিয়েছে। যার প্রভাবে এখনেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেক। এদিকে ২০১৭ সালে সাবেক ইউএনও বদরুদ্দোজা শুভর নাম অনুসারে সৈকতটির নামকরণ করা হয়। শুভ সন্ধ্যা এরপর বেশি সময় লাগেনি এটা পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নিতে।

শুক্রবার (০৫জুন) নলবুনিয়ার সমুদ্র শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে আছে প্রায় প্রস্থ্য ৫০ ফুট ও দৈর্ঘ্য ৩ কিলো মিটার ঝাউবন। যে ঝাউবনটি ছিলো শুভসন্ধ্যার প্রধান সৌন্দর্য। এদিকে সারা বছরই দীঘার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় দেখা যেতো। এখন বিশ্বসহ দেশে চলমান করোনা ভাইরাসের কারনে ঊহৃ সকল পর্যটন কেন্দ্র গুলো। পর্যটকদের যেমন সমুদ্র প্রিয় তেমনই প্রিয় ছিলো ঝাউবন। ঝাউবন ও শুভসন্ধ্যার হুহু বাতাসে টেনে আনে পর্যটকদের। সেই উপকূলের সৌন্দর্য্য লুকিয়ে থাকতো যে ঝাউবনের ভেতর, সেই ঝাউবন আর আস্তা নেই। আম্ফানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে । শেষ করে দিয়ে গেল শুভসন্ধ্যার প্রধান সৌন্দর্য্য ঝাউবনটি। ইতোমধ্যেই পর্যটন এলাকার রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ভাঙনের কবলে পরে ভেঙ্গে গেছে ৫০ ফুট।
জাহাঙ্গীর, আলমগীর, বাচ্চুসহ একাধীক স্থানীয়রা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান যে বরগুনা জেলা দিয়ে বয়ে গেছে তার প্রমান শুধু এই শুভসন্ধ্যার সমুদ্র সৈকতের ঝাউবনটি দেখলেই বোঝা যায়। এই ঝাউবনেরই আমরা আশেপাশের মানুষগুলো বেচে গেছি। ঝাউবনটির প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫০ থেকে ৬০ ফুট প্রস্থ্য ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। যা এখনো পড়ে আছে। যা পরিবেশের উপর প্রভার পড়তে পাবে। সে জন্য এই দিবসে মধ্যে দিয়ে সরকারের  কাছে দাবি জানাচ্ছি। যাতে করে ঝাউবনের সেই আগের রুপটি ফিরে পায়। ঝাউবনের পরিবেশটি ফিরে পেলে এই শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতটি পর্যটকদের আর্কষন বাড়বে।
পর্যটক কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক আরিফ রহমান জানান, গাছ বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। কিন্তু শুভ সন্ধ্যার যে ঝাউবন ভেঙ্গে গেছে তাতে পরিবেশের উপর প্রভাব পড়বে। আর দেশের এই ক্লান্তি কালে পর্যটক আসা বন্ধ আছে কিন্তু এই করোনা ভাইরাস মুক্ত হলে ফের আসতে শুরু করবে পর্যটকরা। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সরকারের হাছে দাবি যাতে এই ঝাউবনের পুরোনো রুপ ফিরে পেতে। আর আমি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ে পর্যটকদের এই সৈকতটিতে আনার জন্য। যে হারে ঝাউবনসহ এখানের যে বন বিলিন হয়ে যাচ্ছে তাতে এক সময় বন ও শুভসন্ধ্যার সৌন্দর্য্য হারিয়ে যাবে।
তালতলী রেঞ্জের কর্মর্কর্তা নয়ন মিস্ত্রী বলেন, ঝাউবনটির শুরু থেকে এ পর্যন্ত যত গুলো ঘূর্ণিঝড় হইছে তাতে  প্রায় ২০ হাজারের মত ঝাউবন বিলিন হয়ে গেছে। এই আম্পানের কারনে প্রায় ৩ হাজার ঝাউবন বিলিন হয়েছে। যা পর্যটন ও পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এভাবে হলে এক পর্যায় বিলিন হয়ে যাবে ঝাউবনটি। তবে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে পানি উন্নয়নের মাধ্যমে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছি তার আর সামনে আগায় নি। তিনি আরও বলেন ঝাউবন বনের অন্য একটি যায়গা থেকে এই আম্পানে ভেঙ্গে গেছে।

এবিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ্ বলেন, বন বিভাগের সাথে কথা বলেছি ভেঙ্গে যাওয়া গাছ গুলো এখন অপসারন করা হচ্ছেনা । জুন- জুলাইতে সৈকতে ঢেউ বেশি থাকবে যাতে করে এই ভাঙ্গা গাছগুলো সী বিচ রক্ষা করবে। এর পরেই এই গাছ গুলোকে ডে¯্রসিং করবো যাতে দর্শনার্থীরা এস দেখতে পারে। আর একে বারেই গাছগুলো ওষান থেকে অপসারন করা হবে না। আমার মনে হয় প্রস্থ্য ২০ ফুট ও দৈর্ঘ্য ২০০ মিটারের মত।এদিকে পরিবেশের যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে সে জন্য এক্সপার্ট ওপেনিয়াম এনে ওখানে অন্য গাছ লাগানো হবে। ইতি মধ্যে ১২০ কোটি টাকার প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। এগুলো বস্তবায়ন হলে সীবিচের আর কোনো ক্ষতি হবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর