ভালবেসে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা লুইস আদ্রিয়ানোকে বিয়ে করেছেন রুশ মডেল একাতেরিনা দোরোজকো। কিন্তু বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নেয়নি বর্ণবাদীরা। ‘কৃষ্ণাঙ্গ’ ফুটবলার আদ্রিয়ানোকে বিয়ে করায় মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয় দোরোজকোকে।
গত সপ্তাহে পুলিশ হেফাজতে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভকে সমর্থন করছেন দোরোজকোও। তবে শেতাঙ্গরাও যে বর্ণবাদের শিকার হন, ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সেটি তুলে ধরলেন তিনি। গত মৌসুমে রুশ ক্লাব স্পার্তক মস্কো ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যান স্ট্রাইকার লুইস আদ্রিয়ানো। যোগ দেন পালমেইরাসে । আদ্রিয়ানোর সঙ্গে ব্রাজিলে ফিরে যান দোরোজকোও।
কিন্তু সেখানে তার জীবন মোটেও সুখকর ছিল না। রাস্তায় বের হলেই নানা রকম কটু কথা শুনতে হতো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত কুরুচিপূর্ণ মেসেজ পেতেন। এমনকি হত্যার হুমকিও দেয়া হতো তাকে।
দোরোজকো লিখেছেন, ‘যখন আমি ব্রাজিলে গেলাম, লোকজন আমাকে দেখলেই বলতো, ‘‘দেখ, দেখ! রাশিয়ান আসছে। হা হা হা...।’’
‘দীর্ঘদিন ধরে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হতো মেসেজে। আমার বাবা-মার অসুস্থতা কামনা করতো তারা। বলতো- আমাকে বাগে পেলে মারধর করবে। এমন আরও অনেক ভীতিপূর্ণ ব্যাপার ছিল। এসবের একটাই কারণ- আমি একজন কৃষ্ণাঙ্গকে বিয়ে করেছি।’
তবে ওসব কথা কানে তোলেননি দোরোজকো। আদ্রিয়ানোকে নিয়ে সুখেই আছেন তিনি। আর গায়ের রংয়ে কিছু যায়-আসে না তার। দোরোজকোর কাছে ‘মানুষ’ পরিচয়টাই সবচেয়ে বড়। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা-মাকে ধন্যবাদ। তারা আমাকে যথাযথ শিক্ষা দিয়েছেন। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে গায়ের রং, চুলের রং এবং সামাজিক অবস্থান দিয়ে বিচার করি না কাউকে। আমার কাছে সবাই সমান। আমার পরিবারের অর্ধেক সদস্য কৃষ্ণাঙ্গ। আমি তাদের খুবই ভালবাসি।’