হবিগঞ্জের খোয়াই নদীতে ভেসে আসা ভারতীয় ব্যবসায়ীর মরদেহ অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফনের ৩ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে শহরের রাজনগর কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করে পুলিশ। পরে মরদেহটি চুনারুঘাট বাল্লা সীমান্তে বিএসএফের কাছে হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যায় বিজিবি।
পুলিশ জানায়, গত ১ জুন বিকেলে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর দক্ষিণ চর এলাকা থেকে ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরিচয় না পেয়ে পরের দিন আন্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে মরদেহটি শহরের রাজনগর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পেয়ে বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবির সাথে যোগাযোগ করেন পরিবারের লোকজন। পরে পুলিশের পাঠানো মরদেহের ছবি ও পকেটে থাকা আংটি, চাবির রিংসহ বিভিন্ন উপকরণের তথ্য পেয়ে মরদেহটি শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন। পরে মরদেহটি ভারতের খোয়াই জেলার পশ্চিম সোনাতলা গ্রামের ব্যবসায়ী টুটন শীলের বলে দাবী করে বিএসএফ।
এ প্রেক্ষিতে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকের পর লাশ হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। সোনাতলা গ্রামের জুতিশ শীলের ছেলে টুটন শীল স্থানীয় ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহটি উদ্ধার করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে বিজিবি বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করবে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুক আলী জানান, ১ জুন লস্করপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি খোয়াই নদীতে একটি লাশ ভেসে আসছে। পরে অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে আনজুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তথ্য জানতে চাইলে আমরা মরদেহের ছবি ও তথ্য প্রদান করি। এসব দেকে পরিবার মরদেহটি শনাক্ত করে। পরে আদালতে আবেদনের মাধ্যমে আজ মরদেহটি কবর থেকে উত্তোরন করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তরের জন্য পাঠানো হয়েছে।