নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর, পাতলা পায়খানা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া রোগীর মৃতদেহ ফেলে পালিয়েছে তার স্ত্রী ও স্বজনরা। বৃহস্পতিবার বিকালে সন্দু মিয়া (৬০) নামের এক রোগী ভর্তি হন। ভর্তির ৬-৭ ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হলে মৃতদেহ হাসপাতালে রেখে ভয়ে স্বজনরা পালিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সজিব সাইফুল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের দেবাদ্বর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে সন্দু মিয়া শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি হন। রোগী অবস্থা অবনতি দেখে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাননি। রাত আনুমানিক ১২টার সময় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। রোগীর মৃতদেহ হাসপাতালে রেখে স্বজনরা পালিয়ে গেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এড়িয়ে যান। মৃত সন্দুর সৎ মা বেগম আক্তার জানান, কয়েক দিন ধরে তার জ্বর ছিল। কাল বিকালে পাতলা পায়াখানা হওয়ায় মদন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. ফখরুল হাসান টিপু জানান, সন্দু মিয়া ফুসফুসের সমস্যার কারণে মারা গেছে। সে করোনা রোগী না। তবুও তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। শুক্রবার সকালে সন্দু মিয়ার মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছে।