বগুড়ায় বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার সারিয়াকান্দি, ধুনট, শাজাহানপুর, শেরপুর এবং কাহালু উপজেলায় বজ্রপাতে এই ৫ জনের মৃত্যু হয়। তাদের কেউ মাঠে গরু আনতে গিয়েছিল, কেউ রোদে শুকাতে দেয়া ধান উঠাতে গিয়েছিল।
নিহতরা হলেন, সারিয়াকান্দি কাজলা ইউনিয়নের চরকুড়িপাড়া গ্রামের বুলু মন্ডলের ছেলে কৃষক লেবু মন্ডল, কাহালু উপজেলার এরুইল গ্রামের কছিম উদ্দিনের ছেলে কৃষক মোখলেছার, শাজাহানপুর উপজেলার হরিণগাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে কৃষক নূর ইসলাম, শেরপুরের কুসুম্বি ইউনিয়নের নামাজামুর গ্রামের হাশেম আলী এবং ধুনটের গোপালনগর গ্রামের দেরাজ আলী সরকারের ছেলে কৃষক আব্দুস ছালাম সরকার।
কাহালুর মালঞ্চা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এরুইল বাজারের পাশে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক ধান শুকাচ্ছিলেন। সে সময় হঠাৎই বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রপাতে মোকলেছার ছাড়াও একই গ্রামের হাসান আলী (৩৫) ও রায়হান (২৮) আহত হন। তাদের ৩ জনকেই বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোকলেছারকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর অবস্থায় হাসান আলীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসার পর রায়হানকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
ধুনটে বজ্রপাতে নিহত আব্দুস ছালাম বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বাড়ির অদূরে মাঠের গো-চারণ ভূমিতে গরু চরাতে যান। বিকেলের দিক বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে তিনি গরুর বাথান নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হন। এ সময় দেউড়িয়া সেতুর উপর পৌঁছলে বজ্রপাতে কৃষক আব্দুস ছালাম সরকার ঘটনাস্থলেই মারা যান। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া সারিয়াকান্দি এবং শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদের নিজ নিজ এলাকায় বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের কোকাদাইর গ্রামে বজ্রপাতে নাছির মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নাছির ওই গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে। সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু সাঈদ জানান, বিকালের দিকে নাগরপুরে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে নাছির বাড়ির পাশের জমিতে ধানের খোঁজ নিয়ে ফেরার পথে হঠাৎ বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কোকাদাইর গ্রামে বিকালের দিকে বজ্রপাত ঘটলে আহত অবস্থায় নাছিরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।