× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনার উপসর্গ নিয়ে ৭ জনের মৃত্যু

বাংলারজমিন


৬ জুন ২০২০, শনিবার

ফেনীতে ২
ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীতে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। মৃতদের বয়স ৫৫-৬৫ বছরের মধ্যে। এদের একজন দাগনভূঞা জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও অপরজন সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা। মৃত্যুর পর কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য উভয়ের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।  

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, দুপুরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দাগনভূঞা জয়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।  
অপরজন সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ একই উপসর্গ নিয়ে সন্ধ্যায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়।
হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণ পর তারও মৃত্যু হয়েছে।
আরএমও ডা. ইকবাল আরো জানান, করোনা উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ হতে মরদেহ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করার জন্য স্বজনদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ডা. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া আরো জানান, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে গত শনিবার থেকে ৬ দিনে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জনপ্রতিনিদের সূত্র জানায়, গত ৭ দিনে ফেনী সদর, সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া ও দাগনভূঞা উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ১০ জন মারা গেছে। এদের মধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা.  মো. সরফুদ্দিন আহমেদ জানান, মৃত্যুর পর সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত উপসর্গ নিয়ে নিহত ব্যক্তিদের ফলাফল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এসে পৌঁছেনি।

চাঁদপুরে ৩
চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুর সদর, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জে করোনার উপসর্গে (জ্বর, শ্বাসকষ্ট) আরো ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সদরের রামপুর ইউনিয়নের বড় সুন্দর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির মাহবুবুল হক (৬০), হাজীগঞ্জ পৌর যুবদলের সাবেক আহবায়ক আবদুল আউয়াল সর্দার ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নে আব্দুল কুদ্দুছ (৫৫) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। অপরদিকে, জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত ২৫৮জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১৯জন, সুস্থ হয়েছেন ৪৩জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৭৪জন।

পটুয়াখালীতে ২
পটুয়াখালী ও মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি: করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালীতে অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের একজনের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলায় এবং অপরজন জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার কিসমতপুর গ্রামে।

পটুয়াখালী আবদুল করিম মৃধা (একেএম)  কলেজের ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হাফেজ মতিয়ার রহমান (৬৫) বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পটুয়াখালী জেনারেল   হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ইন্তেকাল করেন। গত বুধবার থেকে তিনি জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গে আক্রান্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং রাতেই সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

হাসপাতালে তার নমুনা সংগ্রহ শেষে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক গোরস্তানে শুক্রবার দুপুরে তাকে দাফন করা হয়। তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পশ্চিম আউলিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা। পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কিসমতপুর  গ্রামে মজিবুর রহমান (৪৬) নামে একজন জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি ঢাকায় গাড়ি চালাতেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কোভিড প্রটোকলে অনুযায়ী দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন।
পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে ৫ই জুন পর্যন্ত জেলায় ২৩০২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ৭৪ জন শনাক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে আছেন ১০৪৬ জন এবং ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪২৮৪ জন। পটুয়াখালী জেলায় করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রামণে আক্রান্তদের জন্য বেডের সংখ্যা রয়েছে ২২১টি। এর মধ্যে সরকারি বেড রয়েছে ১১০টি। চিকিৎসা সেবায় ৭৫ জন ডাক্তার ও ১০০ জন নার্স রয়েছে বলে জেলা করোনা সেল সূত্রে জানা গেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর