× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামে এমপিসহ পরিবারের সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৬ জুন ২০২০, শনিবার

চট্টগ্রামের বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার পরিবারে ৬ সদস্যসহ মোট ১১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সংসদ সদস্যের স্ত্রী, তিন মেয়ে, এক নাতনি ও এক মেয়ের জামাই, এমপি’র ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী এবং বাসার তিন কাজের মেয়ে রয়েছে।
এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী একেএম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ১ জুন এমপির শহরের বাসা থেকে পরিবারের মোট ১৬ জনের নমুনা নেয়া হয়। ২ জুন ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতাল ল্যাবের রিপোর্টে এমপিসহ মোট ১১ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। করোনা পজেটিভ হওয়ার পর পরিবারের সবাই চট্টগ্রাম শহরের বাসায় আইসোলেশনে আছেন। আল্লাহর রহমতে এমপি স্যার ভালো আছেন। পরিবারের সবাই ভালো আছেন।
আমরাও ভালো আছি। সিভিল সার্জন মহোদয় খোঁজ-খবর রাখছেন। পরিবারের সবাই সিভিল সার্জনের পরামর্শ মেনে চলছেন। প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২৫শে মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে গাড়ির চালকদেরও ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। বাসায় মানুষের যাওয়া-আসাও সীমিত করা হয়। স্যার তেমন কোনো মিটিং-সেমিনারেও যোগ দেননি। এমপি নিজে এবং পরিবারের কোনো সদস্য বাসা থেকে তেমন বের হননি। শুধুমাত্র ১৪ মে জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের সভায় যোগ দেন। এর আগে এপ্রিলের শেষ দিকে এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আহ্বানে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়া নিজের এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ছিলেন, তবে তা ১৪ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত। সবমিলিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সবধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই ছিলেন তিনি। এরপরও করোনায় আক্রান্তের হিসাব মেলাতে পারছেন না তারা।
আর ঈদের আগে নিজ এলাকা বাঁশখালীতে গেলেও বাড়িতে লোকজনের ভিড় হওয়ার শঙ্কায় পুনরায় শহরে ফিরে আসেন এমপি মোস্তাফিজুর রহমান। ঈদ করেছেন শহরেই। তবে ঈদের সময় বাসায় বেশ কিছু সংখ্যক অতিথি এসেছিলেন। যদিও অতিথিদের সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কথা বলেছিলেন তিনি।
তবে এমপির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছেন, ঈদের পরদিন তার স্ত্রীর ছোট বোন তাঁর ছেলেকে নিয়ে এমপির শহরের বাসায় আসেন। এর দুদিন আগে ওই ছোট বোনের শরীরে জ্বর ছিল বলে জানা গেছে। তার মাধ্যমেই সবাই আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে এমপির পরিবারের ধারণা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর