কমলগঞ্জে গায়ে গুটি উঠা নতুন রোগে প্রায় ২ সহস্রাধিক গরু আক্রান্ত হয়েছে। দিন দিন বাড়ছে এ রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা। আক্রান্ত এলাকায় পর্যাপ্ত সরকারি চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ গরু মালিকদের।
কমলগঞ্জ পৌর এলাকাসহ উপজেলার কমলগঞ্জ সদর, মুন্সীবাজার, পতনউষার, শমশেরনগর, আলীনগর, আদমপুর, মাধবপুর, ইসলামপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে এ রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বেশি আক্রান্ত হয়েছে শ্রীসূর্য্য, করিমপুর, বাসুদেবপুর, গোপাল নগর, মইদাইল, জালালপুর, উবাহাটা, চন্ডিপুর, পূর্ব জালালপুর, কামদপুর, চিৎলিয়া, নয়াপত্তন, নোয়াগাঁও, ধূপাটিলা সহ কয়েকটি গ্রামে। নতুন রোগে আক্রান্ত গরুর মালিকরা জানান, প্রথমে গরুর গায়ে গুটি গুটি উঠে। তারপর গলা ফুলে গরুর গায়ে অতিরিক্ত জ্বর উঠে। এতে গরু খাবার খেতে চায় না। দেখা দেয় গুটি গুলির জায়গায় ঘাঁ হয়ে পচন ধরে।
ইতিমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে শ্রীসূর্য্য গ্রামের অশিত শীল ও কামদপুর গ্রামের মনাফ মিয়া নামে দুই জনের দুটি গরুসহ বেশ কটি গরু মারা গেছে। একের পর পর গরু সংক্রমিত হওয়ায় গরুর মালিকরা আতংকে আছেন। আক্রান্ত এলাকায় পর্যাপ্ত সরকারি চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ গরু মালিকদের। তারা বলেন, আক্রান্ত পশুর জন্য সরকারিভাবে ভালো কোন চিকিৎসা সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রাইভেট চিকিৎসকদের অধিক ফি দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করাতে হচ্ছে। যে কারনে করোনা ভাইরাসের এই সময়কালে গরুর মালিকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে গরু মালিকদের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ বলছে, যেখানে গরু আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে সেখানে গিয়েই তারা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রাণি সম্পদ বিভাগের দাবী, গরুরা লামপি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কমলগঞ্জে এটি নতুন রোগ।
আলাপকালে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হেদায়েত আলী সাংবাদিকদের বলেন, এই এলাকায় এটি নতুন রোগ। এই রোগকে লামপি স্কিন ডিজিজ বলা হয়। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে এ রোগ থেকে নিরাময় সম্ভব। এই রোগ কোন ভাবেই গরু থেকে মানুষের শরীরে ছড়াবে না বলেও জানান প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।