সম্প্রতি ভারতের কেরালা রাজ্যে অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে বাজি ভরা আনারস খাইয়ে হত্যার প্রতিবাদে চারদিকে ব্যাপক শোরগোল উঠে। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, চায়ের দোকান সব জায়গাতেই আলোচনার বিষয় ছিল এটি। মানুষের নিষ্ঠুরতায় কাঁদছিলো মানুষ। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অনেকেই সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
তারপরই “ন্যায়বিচারের জয় হবে,” বৃহস্পতিবার এমন টুইট করে প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। তদন্তে নামে প্রশাসন। এনডিটিভির খবর এই মামলায় প্রথম আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম উইলসন, বয়স ৪০, তিনি একজন রাবার চাষি। মামলার অপর দুই সন্দেহভাজন এখনো পলাতক।
জানা গেছে, তদন্ত ও প্রমাণ সংগ্রহের অংশ হিসেবে উইলসনকে সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি অন্য দু'জনকে বাজি তৈরি করতে সাহায্য করতেন।
স্থানীয়ভাবে তৈরি ওই বাজিগুলো ফলের মধ্যে বা পশুর চর্বিতে ভরে দেয়া হয়, যা বুনো প্রাণীকে ভয় দেখানোর জন্য এবং ফসল রক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়।
তদন্দকারীরা কর্মকর্তারা এখন বলছেন, হাতিটি আনারস নয় বরং নারকেল ভেঙে বিস্ফোরক পদার্থ খেয়ে ফেলেছিল এবং এতে হাতির মুখ পুরো ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। যার ফলে কয়েকদিন ধরে পানি বা কোনও খাবার পর্যন্ত সে খেতে না পেরে দুর্বল হয়ে গিয়েছিল
উল্লেখ্য, গর্ভবতী ওই হাতি দিন কয়েক মুখের গুরুতর জখম নিয়েই গ্রামে ঘুরে বেড়ায়। তারপর তীব্র যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে নদীতে গিয়ে শুঁড় ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। দাঁড়িয়ে থেকেই করুণ মৃত্যু হয় হাতিটির।