× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফতুল্লায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, ভাংচুর, গ্রেপ্তার ৪

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
(৩ বছর আগে) জুন ৬, ২০২০, শনিবার, ৫:৫৬ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ উভয় গ্রুপের দু’জন করে ৪জনকে গ্রেপ্তার করে পাল্টা পাল্টি মামলা নিয়েছে। শনিবার দুপুরে মামলা গ্রহন করে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোবারক হোসেন ও ফতুল্লা ইউনিয়ন ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক সমর্থিত দুটি গ্রুপ শুক্রবার রাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে এলাকার সাধারণ লোকজনের বাড়ি ঘর ব্যাপক ভাংচুর করে। বাড়ির গেইট, জানালা, দোকানের শার্টার দা দিয়ে কুপিয়ে ছিদ্র করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এসময় উভয় গ্রুপের তান্ডবে ভয়ে এলাকাবাসী বাসা বাড়ির বাতি নিভিয়ে চিৎকার করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ধাওয়া করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোবারক হোসেন (৬৫) তার সহযোগী রাতুল (১৫) ও আওয়ামীলীগ নেতা ওমর ফারুক (৬৫) এবং তার মেয়ে মাহমুদু আক্তার সীমাকে (১৯) আটক করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এলাকাবাসী জানায়, মোবারক হোসেন ও ওমর ফারুক এলাকায় পৃথক কিশোর গ্যাং তৈরী করে তাদের দিয়ে মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। গলির ভিতরে আওয়ামীলীগের বড় নেতাদের পোষ্টার সাটিয়ে দোকান ঘরে অফিস তৈরী করে সেখানে নানা ধরনের লোকজনদের ধরে এনে বিচার শালিসির নামে নির্যাতনসহ মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে কিশোররা।
এক গ্রুপের ধান্ধায় আরেক গ্রুপের লোকজনদের বাধা পড়লেই সংঘর্ষে জড়ায় তারা।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই মোবারক হোসেন ও ওমর ফারুক এবং তাদের সমর্থীত লোকজনদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। প্রায় সময় তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের একাধীকবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তারা প্রশাসনের সতর্কতা না মেনে সংঘর্ষে জড়িয়ে এলাকাবাসীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের শেল্টারদাতাদের গ্রেপ্তার করে পাল্টা পাল্টি মামলা গ্রহন করেছি। মোবারক হোসেনের পক্ষে মামলা করেছে মাসুদ খন্দকার নামে তার এক আত্মীয়। এ মামলায় ওমর ফারুকসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামী করা হয়েছে। অপরদিকে ওমর ফারুক নিজেই বাদী হয়ে মোবারক হোসেনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর