সিলেটের জাফলংয়ের ভূমিদস্যু আলীম উদ্দিন ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নয়াবস্তি গ্রামের একটি নিরীহ পরিবার। এরই মধ্যে ওই পরিবারের ভূমি দখলে নিতে দফায় দফায় হামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে ওই চক্র। এ ব্যাপারে মামলা করেও বিপাকে ওই পরিবার। এখন মামলা তুলে নিতে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি দায়ের করেও নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ওই পরিবার। শনিবার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জীবনের নিরাপত্তা ও দখল হওয়া ভূমি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছে তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন- জাফলং নয়াবস্তি গ্রামের বাসিন্দা মৃত মকবুল আলীর ছেলে আজগর আলী। সংবাদ সম্মেলনে আজগর আলী বলেন- তার পিতা মকবুল হোসেনের মৃত্যুর কয়েক বছর পর জমির লিজের সময় শেষ হয়ে গেলে ২০১৪ সালের শেষদিকে তার মা মরিয়ম নেছার নামে জেলা প্রশাসক মহোদয় ওই ভূমি বন্দোবস্ত দেন।
দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বন্দোবস্ত থাকা ভূমি দখলে নিতে পাঁয়তারা করছিলো জাফলংয়ের ভূমিদস্যু ও পাথরখেকো আলীম উদ্দিন সহ তার সহযোগীরা। ৫ মাস আগে আলীম উদ্দিন, তার পিতা ইনসান আলী, ভাই শাহজাহান, মতলিব, কামাল, রেজওয়ান, সেলিম, রায়হান সহ কয়েকজন তাদের উপর হামলা করে। এ সময় আলীম উদ্দিন জমির একাংশও দখল করে নিয়েছে। ওই হামলার পর গত ২৩শে এপ্রিল আলীম উদ্দিন সহ তার ৯ সহযোগী বর্তমান বসবাস করা বাড়িতে কাগজপত্র লুটে নিতে হামলা চালায়। এ সময় তারা অস্ত্রের মুখে বাড়িঘরে লুটপাট চালায়। প্রায় সব মালামাল তারা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায়ও থানায় মামলা হয়।
এই মামলা তুলে না নেয়ার কারণে আবার গত ৬ই মে তারা আরেক দফা হামলা করে। এই হামলায়ও আজগর, তার ছোটভাই আকবর ও মা মরিয়ম বেগম গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে গত ৯ই মে আসামি আলীম উদ্দিনকে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকা থেকে ‘পলাতক আসামি’ হিসেবে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। আলিম উদ্দিন ও তার ভাইরা এবং কুর্মের সহযোগীরা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন তারা। এখন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে জীবনের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি বেদখল হওয়া ভূমি ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তারা।