× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনার যোগীপোল ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ মেম্বারের অনাস্থা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
৭ জুন ২০২০, রবিবার

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ৬নং যোগীপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পে ও ভিজিডি কার্ডের তালিকায় অনিয়ম, ইউনিয়নের আয়ের বিভিন্ন খাতের হিসাব উপস্থাপন না করাসহ অভিযোগ তুলে দিঘলিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অনাস্থা দিয়েছে ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্যগণ। ৪ঠা জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. গোলাম সরোয়ার খানের কাছে গণঅনাস্থার লিখিত আবেদনপত্র জমা দেন। যোগীপোল ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৯জন ইউপি সদস্য এবং ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ মোট ১২ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১০ জন লিখিত গণঅনাস্থায় স্বাক্ষর করেছেন। লিখিত গণঅনাস্থায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পে ও ভিজিডি কার্ডের তালিকায় অনিয়ম, ইউনিয়নের হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে আদায়কৃত অর্থ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের আদায়কৃত ফি, প্রত্যয়নপত্র ও ট্রেড লাইসেন্স বিক্রয়কৃত অর্থ ও জমি নিবন্ধনের ১% কমিশন থেকে প্রাপ্ত অর্থের হিসাব মাসিক সভা অথবা অনানুষ্ঠানিক কোনো সভায় উপস্থাপন না করা, বিভিন্ন অজুহাতে ইউপি সদস্য ও সদস্যাগণের কাছ থেকে রাস্তাঘাটে/বাড়িতে ব্যস্ততা দেখিয়ে অদাপ্তরিক স্বাক্ষর নেয়া, চেয়ারম্যানের চরম স্বেচ্ছাচারিতা, অজবাবদিহিতামূলক আচরণ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে বিতর্কিত ব্যক্তিকে সরকারি দায়িত্ব দেয়া যা ইউনিয়ন পরিষদের অবমূল্যায়নের শামিল। অনাস্থার লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ইউনিয়নের জনগণের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ায় তাদের এই সিদ্ধান্ত। চেয়ারম্যানের এ সকল কর্মকাণ্ডের দায়-দায়িত্ব ইউপি সদস্যরা নিতে চায় না। ইউনিয়ন পরিষদের সুনাম ও আমাদের সত্ত্বাকে একজন ব্যক্তির জন্য বিকিয়ে দিতে পারি না। তাই আমরা ইউনিয়মের মেম্বারগণ চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করছি।
তারা অভিযোগগুলোর সঠিক তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনানুগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে যোগীপোল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানের দির্ঘদিনের কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সব সদস্যগণ ইউনিয়নবাসীর স্বার্থে জনপ্রতিনিধি হিসাবে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। দিঘলিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-উল-আসাদ বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো অভিযোগপত্র হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর