× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা সংক্রমণে খুলনা বিপজ্জনক অবস্থানে!

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
৭ জুন ২০২০, রবিবার

করোনাভাইরাস সংক্রমণে খুলনা মহানগরী ও জেলার অনেকটাই ‘ডেঞ্জার জোন’-এ পরিণত হয়েছে। খুলনা বিভাগের দশ জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। আক্রান্তের দিক থেকে খুলনা জেলাই বিপজ্জনক অবস্থানে। এ জেলায় এখন আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৩। সর্বশেষ নগরীর দৌলতপুর থানার একজন পুলিশ কনস্টেবল (৪৩) করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর করোনা শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে থানাজুড়ে। থানার ওসিসহ ৮৩ জন পুলিশ সদস্যকে সরকারি দৌলতপুর মুহসীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ওই পুলিশ কনস্টেবল নিয়মিত ডিউটিরত অবস্থায় তার জ্বর, সর্দি উপসর্গ দেখা দেয়।
গত ৩রা জুন খুমেক হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন। ৪ঠা জুন তিনি করোনা পজিটিভ বলে খুমেক হাসপাতাল হতে জানানো হয়। বর্তমানে তিনি করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া আক্রান্ত পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে ব্যারাকে অবস্থানরত ২১ জন কনস্টেবলকেও নমুনা পরীক্ষার জন্য খুমেক হাসপাতালে নেয়া হয়।
ওই দিন খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে ৩৫ জনের করোনা পজিটিভ আসে। যার ৩০ জনই ছিল খুলনা মহানগরীর। যা একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড। এর আগে পিসিআর মেশিনে সর্বোচ্চ ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। যার মধ্যে খুলনায় ছিলো ২৬ জন। এদিকে সংক্রমণরোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একই সঙ্গে মহানগরীর দশটি স্থানে শুক্রবার (৫ই জুন) লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ওইসব স্থানে প্রবেশ বা বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
লকডাউন করা স্থানগুলো হচ্ছে-মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার মুজগুন্নি দিঘির পাড়, ৩১/১৭ হাজী ফয়েজ উদ্দিন রোড, ২/১ সিএন্ডবি কলোনি, ছোট বয়রা শান্তিনগর মোড়, ৩০/৬ করিম নগর, খুলনা থানার তামিম হাউস, হাজী মুহসীন রোড, বেলায়েত হোসেন সড়ক, ইকবাল নগর হাজী মেহের আলী রোড, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, দোলখোলা ইসলামপুর বাই লেন, হরিণটানা থানার মোস্তর মোড় ও মাতব্বর মার্কেট সংলগ্ন এলাকা। দৌলতপুর থানার ইনচার্জ (তদন্ত) সৈয়দ মো. মোশাররফ হোসেন জানান, বর্তমানে নগরীর খালিশপুর থানার ৩০ জন পুলিশ সদস্য ও দৌলতপুর ট্রেড ফাঁড়ির ১৯ জন পুলিশ সদস্য দৌলতপুর থানা এলাকার সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ জানান, বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় মানুষ অবাধে চলাচলের সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই তথ্য গোপন করায় বা উপসর্গবিহীন থাকায় সংক্রমণের আশংকা বেড়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর