সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ভারত ও চীনের উচ্চ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র উত্তেজনা চলছিলো দুই দেশের মধ্যে। সীমান্তে চলছিল হুমকি ও পাল্টা হুমকি। বেশ কয়েকবার মুখোমুখি দাড়িয়ে গিয়েছিলো উভয় দেশের সেনারা। অবশেষে ভারতই এগিয়ে এসে সমস্যা সমাধানে আলোচনার প্রস্তাব দেয় চীনকে। সেই প্রস্তাব লুফে নেয় বেইজিংও। এরইভিত্তিতে শনিবার দুই দেশের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই।
ভারত ও চীনের মধ্যেকার সীমান্তবর্তী এলাকা চুশুল-মোলদোতে দুই দেশের সামরিক পর্যায়ের ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের তরফ থেকে সামরিক আলোচনার নেতৃত্বে ছিলেন ফোরটিন কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। এখন পর্যন্ত এটিকে উত্তেজনা নিরসনে দুই দেশের জন্যই ইতিবাচক আগ্রহ হিসেবে ধরে নেয়া হচ্ছে। গত ৯ মে থেকে চলছে এ উত্তেজনা। এর পূর্বেও বেশ কয়েকবার এটি নিরসনের চেষ্টা করা হয়। তবে তা স্থানীয় পর্যায়ে হওয়াতে কার্যত অবস্থা অপরিবর্তিত থাকে।
আলোচনায় চীনের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করবে ভারত এমনটা আগে থেকে বলা হচ্ছিল। এতে চীনকে বলা হবে, বিতর্কিত ওই সীমান্তের কাছে অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন ভারত করছে তাতে যাতে চীন কোনো বাধা সৃষ্টি না করে। অপরদিকে চীন চাইছে এই ইস্যুতে যাতে যুক্তরাষ্ট্রকে ডেকে না নিয়ে আসে ভারত।
এর আগে ভারত অভিযোগ জানায়, চীনের সেনাবাহিনী লাদাখ ও সিকিমের নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি টপকে ভারতীয় এলাকায় ঘাঁটি গাঁড়তে চেয়েছে। তবে সে চেষ্টা নস্যাৎ করতে সমর্থ হয় ভারত। এ নিয়ে উত্তেজনা শুরু হলে ভারতকে দোষারোপ করে চীন। ভারতও দাবি করে, চীনের সেনারাই উস্কানি দিয়ে সমস্যার শুরু করেছে। ভারত-চীন সীমারেখার যে পাঁচটি এলাকা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে পূর্ব লাদাখ তার মধ্যে অন্যতম।
এর আগে ২০১৭ সালে দোকলাম সীমান্ত নিয়েও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রায় ৩ মাস ধরে চলেছিল। তবে ১৯৬২ সালের পর দুই দেশের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। সে যুদ্ধের ভয়াবহতার কারণে দুই দেশই সংঘাত এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছে।