কুমিল্লায় করোনা উপসর্গ নিয়ে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। করোনা উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লা নগরীর স্বর্ণ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আবুল কাশেম ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কলাবাগান গ্রামের মাহবুব মজুমদার
আজ সকালবেলা নিজবাড়ীতে মারা যান। দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভোলার বাড়ি করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয় হাফেজ মিয়ার (৩৫) ।তিনি বি-বাড়িয়া একটি মসজিদের ঈমামতি করতেন।
তার বন্ধু মুফতি মাসুদ জানান, গত কাল শুক্রবার বিকালে জ্বর ঠান্ডা নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসলে রাতে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে শনিবার সকালে এম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া সময় পথিমধ্যে সকাল ৮ ঘটিকায় তার মৃত্যু হয়। এসময় তার লাশ নোয়াদ্দা রাস্তার পাশে এম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দেয়া হয়।
পরে খবর পেয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য মো. শাহাদাৎ হোসেন মিঠু তার লাশ দাফনের যাবতীয় সকল প্রস্ততি ও ব্যয়ভার বহন করে লাশ দাফন সম্পন্ন করেন।
সদর দক্ষিন উপজেলার হরকল গ্রামের করোনায় আক্রান্ত হয়ে
মোঃ ইহসাক মিয়া সকাল ৭ ঘটিকায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপালে তার মৃত্যু হয় ।
তাছাড়া সকালে ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যু হয় নগরীর আফতাব ব্রাদার্স -এর সত্তাধিকারী মোঃ নাসিম।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী নাসিমের মরদেহ বিষ্ণুপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। স্ত্রীসহ ২ কৃতি পুত্র। তারা দুজনই বুয়েটের ছাত্র। এদিকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আমীর হোসেন সরকার (২৮) গতকাল বেলা ৩টার সময় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। নিহত ছাত্রলীগ নেতা আমীর হোসেন সরকার উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের বাড়ানী গ্রামের গ্রাম পুলিশ আবদুল সৈয়দ এর ছেলে। সে মাধবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এ ব্যপারে নিহতের ভাই সাদেক মিয়া জানান, গত কয়েকদিন যাবত আমীর হোসেন প্রচন্ড জ্বর ও বিভিন্ন ঠান্ড জনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
তার অবস্তা আশঙ্খাজনক দেখে আমরা তাকে ৬ জুন (শনিবার) সকালে প্রথমে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমীরের অবস্থার অবনতি দেখে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে গিয়ে বেলা সোয়া ৩ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমীর হোসেন মারা যায়। রাতে তার দাফন করা হয়।