× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পরামর্শ

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
৮ জুন ২০২০, সোমবার

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের স্থবির অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা জরুরি। এক্ষেত্রে দেশীয় শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে জোর দিতে হবে। রোববার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও খাত সংশ্লিষ্টরা। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক টেকসই, পুনরুদ্ধার, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ, এফডিআই এবং ওএফডিআই বিষয়ে ওয়েবিনার করে এফবিসিসিআই।
সংগঠনটির সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, সফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন, আবদুল মাতলুব আহমাদ প্রমুখ অংশ নেন।
কারোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যাংকঋণ ভিত্তিক যেসব প্যাকেজ নেয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং খাত সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে। তার ওপর সরকার ব্যাংক ঋণ ভিত্তিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এতে করে অর্থনীতির উন্নতি হবে। তবে প্রণোদনা বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে।
ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি বাংলাদেশ ব্যাংক অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মাধ্যমে ব্যাংক খাতে তারল্য বাড়বে। এই উদ্যোগটি স্বল্পমেয়াদি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে ৫,১০ অথবা ১৫ বছর মেয়াদি প্রকল্প নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি এতটা কমে যাওয়া আসলেই দুঃখজনক। তবে করোনা পরবর্তীতে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য বেসরকারি ঋণ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি একে আজাদ বলেন, আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে। পাশাপাশি দেশীয় দক্ষশক্তি বাড়াতে হবে। কারণ দক্ষজনশক্তি না থাকায় দেশ থেকে প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন অর্থ চলে যাচ্ছে। এটি বন্ধ করতে হবে।
আবদুল মাতলুব আহমেদ বলেন, এখন সময় দেশীয় ইন্ডাস্ট্রিকে সার্পোট দেয়ার। পণ্য উৎপাদন করে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানোর, বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। বাংলাদেশকে পুরো ইপিজেডের মতো করে দেবেন। দেশটাই পাল্টে যাবে। চলমান পরিস্থিতিতে যেসব পণ্য রপ্তানি করতে সমস্যা হচ্ছে তা দেশের বাজারে সরবারহের পরামর্শ দেন তিনি।
সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দেশের কৃষকরা চলমান সংকটকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে। তাই কৃষিখাতের ঋণ প্যাকেজের সুদহার আরও কমিয়ে আনার দাবি জানান তিনি। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামোর তৈরি এবং দক্ষশক্তি বৃদ্ধির পরামর্শ দেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডির) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। মাশরুর রিয়াজ বলেন, করোনা মোকাবেলায় প্রথমে আমাদের স্বাস্থ্য খাতের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এই অবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি খাতে প্রণোদনা দিতে হবে। আগামী বাজেটে ৭-৮ শতাংশ ঘাটতি থাকতে পারে। তবে বাজেটে নতুন করে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।
এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি এবং বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, করোনা সংকট মোকাবিলায় কর্মসংস্থান তৈরির কোনো বিকল্প নেই। কারণ ইতিমধ্যেই ১৪ লাখ কর্মী বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। তাদের পাশাপাশি দেশের জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সক্রিয় পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এনবিআর সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের করোনা সংকট মোকাবিলা করতে হবে। সরকার যেই স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তার পাশাপাশি ট্যাক্স হার কমিয়ে আনার প্রয়োজন আছে। গত ২৫ বছরে আমরা লক্ষ্য করেছি ট্যাক্স রেট কমালে রেভিনিউ কখনোই কমে না। আগামী দুই বছরে অবশ্যই এই সুযোগ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি ভ্যাট কমানোরও প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাতকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। যা আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ভিতের ওপর দাড়াতে সাহায্য করবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর