সরকারি প্রচলিত বিধিবিধান যথাযথভাবে পালনপূর্বক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমটিএ)এবং বেকার এন্ড প্রাইভেট সার্ভিসেস মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন(বিপিএসএমটিএ)। গতকাল বিএমটিএ সভাপতি আলমাছ আলী খান, মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন খান এবং বিপিএসএমটিএ’র সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও মহাসচিব সিরাজুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সহ অন্যান্য পদধারীদের ৩ হাজার পদে নিয়োগদানের অনুমোদিত প্রস্তাবে ১৮৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিষ্টকে সৃজিত পদে সরাসরি স্থায়ী নিয়োগ দেয়ার যে প্রস্তাব স্বাস্থ্য বিভাগ দিয়েছে তা মডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের প্রচলিত বিধিবিধানের পরিপন্থী। এ ধরনের বিধিবহির্ভূত প্রস্তাবে সারাদেশের মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। নেতৃবৃন্দ এ প্রস্তাবের প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, এ ধরনের নিয়োগ প্রতিহত করতে প্রয়োজনে সারাদেশের সকল সরকারি/ বেসরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করা সহ যেকোন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, উল্লিখিত ১৮৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে কোন হাসপাতালে, কি প্রক্রিয়ায়, কোন কর্তৃপক্ষ, কি কি শর্তে, কোন তারিখে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন সারাদেশের মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা তা জানেন না।
এদিকে গতকাল সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা কয়েক শত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনে সমবেত হয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে পাশ করাদেরকে আইনী বাধ্যবাধকতার কারণে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত না করা, কারিগরি শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টদের মামলার কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে যে সকল মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পেরিয়ে গেছে তাদেরকে সহ অন্ততপক্ষে বেকার ২০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা এবং অস্বচ্ছ ও নিয়োগবিধি বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় কথিত অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত ১৮৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে সরাসরি স্থায়ী নিয়োগ প্রদানের যে সুপারিশ স্বাস্থ্য বিভাগ করেছেন তা ৪৮ ঘণ্টা মধ্যে বাতিলের দাবি জানান। অন্যথায় আগামী ১০ই জুন উক্ত দাবি বান্তবায়নের সমর্থনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হবে বলে জানান টেকনোলজিস্টরা।
এরপরেও দাবি বাস্তবায়িত না হলে প্রয়োজনে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা সারাদেশে সকল সরকারি/ বেসরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করা সহ যেকোন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে যার দায়দায়িত্ব স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর বর্তাবে বলে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সমাবেশে বিপিএসএমটিএ’র সভাপতি মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএমটিএ’র সভাপতি আলমাছ আলী খান, মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন খান, আওলাদ হোসেন, মহব্বত হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, রিপন কুমার, শাকিল উদ্দিন, মোখলেছুর রহমান, মোস্তাাফিজুর রহমান প্রমুখ।