মায়ের জন্য আইসিইউ সাপোর্ট পেলেন না সিলেটের ক্রীড়া সাংবাদিক একুশ তাপাদার। মাকে নিয়ে ওসমানীতে ছিলেন ভর্তি। রাত ৩টায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সহযোগিতা চান। কিন্তু কোথাও মিলেনি আইসিইউ। এ কারনে শ্বাসকষ্ট বেড়ে সোমবার ভোররাতে মারা যান একুশ তাপাদারের মা লুৎফা বেগম তাপাদার। একুশ তাপাদার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার-এর ক্রীড়া প্রতিবেদক। তার বন্ধুরা জানিয়েছেন, রোববার রাত ১০টার দিকে তার মা লুৎফা বেগম তাপাদারকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত দুইটার দিকে তার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়ে।
শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তার মাকে ডাক্তাররা আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ওসমানী হাসপাতালের কোনো আইসিইউ খালি পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় আইসিইউ ব্যবস্থার জন্য সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন একুশ।
তার কিছুক্ষণ পর ভোর ৪টার দিকে মারা যান লুৎফা বেগম। তারা জানান, ভোরের দিকে নগরীর কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করেও আইসিইউ পাওয়া যায়নি। এদিকে সোমবার জোহরের নামাজের পর বিয়ানীবাজারে গ্রামের বাড়িতে লুৎফা বেগম তাপাদারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গ্রামের বাড়িতেই তাকে সমাহিত করা হয়। সিলেটের বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা লুৎফা বেগম তাপাদার থাকতেন নগরীর উপকণ্ঠের বটেশ্বর এলাকায়। দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী লুৎফা বেগমের স্বামী আগেই যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন অবস্থায় মারা যান।