এমপিওভুক্তির জন্য জালিয়াতির আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের আবদুর রাজ্জাক একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। হঠাৎ করেই প্রধান শিক্ষক হয়ে গেছেন তিনি। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে অভিযোগ দিয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকেও অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক, বিএসসি (গণিত) এর শূন্য পদের বিপরীতে ২০১০ সালের ১লা জুলাই শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়াকে, এমএসসি (গণিত) চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েদুজ্জামান পদত্যাগ করলে ২০১৪ সালের ১লা ডিসেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান তিনি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম রেজা তার অভিযোগে বলেন, ২০১৯ সালের ২৩শে অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয় পরিদর্শনে এলে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া নিজেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে ঘোষণা করেন।
অথচ এর আগে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেব, মন্ত্রণালয় এবং বোর্ডে প্রেরিত যাবতীয় কাগজপত্রে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদবি ও সিল ব্যবহার করেন তিনি। তাছাড়া ২০১৫ সালের ১১ই নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রে ওই বছরের ২২শে অক্টোবর বা তৎপরবর্তী সময়ে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করে। এর প্রেক্ষিতে ২৩শে নভেম্বর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি এক জরুরি সভা করে। ওই সভায় ২৯শে অক্টোবর প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এই রেজুলেশনও শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্বাক্ষর করেন। তবে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া এই অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন। বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রোকসানা ফেরদৌস মজুমদার অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন।