সহজ শর্তে প্রণোদনা ও বেকার হওয়া শ্রমিকদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন সিলেট জেলা ডেকোরেটার্স মালিক সমিতির নেতারা। বুধবার বিকালে মালিক সমিতির জল্লারপাড়স্থ কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সমিতির নেতারা এ দাবি জানান। এ সময় সমিতির নেতারা বলেন, মহামারি করোনার কারণে সিলেটের ডেকোরেটার্স ব্যবসায় মন্দা চলছে। নগর সহ জেলার প্রায় ৪০০ ডেকোরেটার্স মালিক অর্থ সংকটের মুখে পড়েছেন। এর মধ্যেও তারা দোকান ও গুদাম ভাড়া গুনতে হচ্ছে। চার মাস ধরে দোকান বন্ধ থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ক্রোকারিজ মালামাল, কাপড় ও বাঁশ। এ কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন ডেকোরেটার্স মালিকরা। বর্তমানে লকডাউন শিথিল হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকার কারণে অনুষ্ঠানাদি বন্ধ থাকায় এখনো ব্যবসা স্বাভাবিক হচ্ছে না।
তারা বলেন, সিলেটে ডেকোরেটার্সের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক। লকডাউনের কারণে ব্যবসায় মন্দা থাকার কারণে শ্রমিক, ভ্যান ড্রাইভারের বেতনও বন্ধ রয়েছে। সরকার কিংবা বেসরকারি পর্যায় থেকে এসব শ্রমিকরা বিগত দিনে কোনো সহযোগিতা পায়নি। এই অবস্থায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সিলেটের ডেকোরেটার্স মালিকদের। সরকারের প্রণোদনা ছাড়া সিলেটের ডেকোরেটার্স ব্যবসা চলমান রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এজন্য তারা সরকারের কাছে প্রণোদনা ও শ্রমিকদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের দাবি করেন। সিলেট জেলা ডেকোরেটার্স মালিক সমিতির আহ্বায়ক হাজী মো. বাবলা খানের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ শামসুল হকের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক বিভাষ শ্যাম যাদন, সদস্য সচিব আতাউর রহমান ইকবাল, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল জব্বার, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ রতিন্দ্র দাশ রতি, সদস্য বশির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, মো. রাসেল আলী, ইব্রাহিম আলী, মনা মিয়া, মো. নাসির, মো. নাঈম, মো. সুমন, আমির হোসেন, রিপন আহমদ, আসাদ উদ্দিন, আব্দুল মজিদ, আলমগীর হোসেন, জুয়েল আহমদ ও আব্দুল মজিদ চৌধুরী প্রমুখ।