একশো পঁয়ষট্টি বছরের ইতিহাসে কোনোদিন মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়নি। কিন্তু এই লকডাউন ঐতিহ্যে থাবা বসিয়ে ছিল। পঁচাত্তর দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার খুলছে দক্ষিণেশ্বর ভাবতারিনীর মন্দির। কিন্তু, একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে। মন্দিরে মা কালীর কাছে কোন ভক্ত নিয়ে যেতে পারবেন না ফুল, সিঁদুর কিংবা বেলপাতা। চরণামৃত বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। স্কাইওয়াক দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। দু’ নম্বর গেট এর কাছে একবার এবং মন্দিরে ঢোকার মুখে সিংহদুয়ারে আর একবার থার্মাল চেকিং হবে।
মন্দির খোলার সময়ও নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। সকাল সাতটা থেকে দশটা এবং বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে সান্ধ্য সাড়ে ছ’টা মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে। মন্দির কমিটি জানিয়েছে যে একসঙ্গে দশ জনের বেশি ভক্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। অবশ্য মন্দিরের সামনের চাতালে চারশোজন সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে দাঁড়াতে পারবেন। তবে মন্দিরের গর্ভগৃহে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। আর একটি প্রথা তুলে দেয়া হয়েছে, তা হল ভিআইপিদের জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা। করোনা উত্তর দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে ভিআইপি বলে আর কিছু থাকছে না। মন্ত্রী-সান্ত্রীদেরও সাধারণ মানুষের লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দিতে হবে। তবে, নিয়ন্ত্রিতভাবে মূল কালীমন্দির খুললেও এখনই খুলছে না রাধাকৃষ্ণের মন্দির, বড় শিবমন্দির অথবা ঠাকুর রামকৃষ্ণের শয়নকক্ষের দরজা।