এক সময় নামীদামী হাসপাতালে চুটিয়ে চিকিৎসা করেছেন। কিন্তু ১৪ বছর আগে সিনেমার প্রতি ভালোবাসা থেকেই চিকিৎসার পেশাকে বিদায় জানিয়ে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় পাকাপাকিভাবে চলে এসেছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। আমাজন অভিযানের মত চলচ্চিত্র তৈরি করে পরিচালক হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। কিন্তু দেশের এই দুর্যোগের সময়ে মানবিকতার স্বার্থে ফের পুরনো পেশায় ফিরে গিয়েছেন পরিচালক কমলেশ্বর। আফগানবিধ্বস্ত ও করোনা আক্রান্ত সুন্দরবনের মানুষের অবর্ণনীয় দুর্গতির কথা জানাতে পেরে ঠিক থাকতে পারেন নি। শুরু করে দিয়েছেন চিকিৎসা দেবার কাজ। সুন্দরবনের আমফান বিধ্বস্ত বিভিন্ন গ্রামের গরীব মানুষদের চিকিৎসা শিবিরে চিকিৎসকের ভূমিকায় দেখা গেছে পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে। গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে অসহায় মানুষগুলোর চিকিৎসা করছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্টও করেছেন তিনি। ছবির স্টেটাসে পরিচালক লিখেছেন, গত দশকে আয়লা যেমন এই অঞ্চলের মানুষের ও অরণ্য-বাস্তুর যে ক্ষতি করেছিল, এই দশকে আমফান তার দ্বিগুণ তছনছ করে দিয়ে গেছে এলাকার জনজীবন ও নিসর্গ বিন্যাস। সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হল যখন বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী-এর সংক্রমণ সার্বিকভাবে মানুষকে পর্যদুস্ত করছে এবং দেশের-রাজ্যের অর্থনীতি অথৈ জলে তখন প্রকৃতি নিঃস্ব ভাতের পাতে ঝড় দিল। আর তাতেই রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের দুর্দশা আজ চরমে পৌঁছেছে। জানা গেছে, গরীব মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর সমবেত উদ্যোগ নিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ, আস্থা ,ডক্টর ভাস্কর রাও, জনস্বাস্থ্য কমিটি সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। এদের উদ্যোগে তৈরি চিকিৎসা শিবিরে প্রতিদিন প্রায় ২০০ জন রোগী দেখছেন পরিচালক চিকিৎসক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। অবশ্য চিকিৎসক থাকাকালীন সময়েও তিনি অসহায় মানুষগুলোকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন। ফের একবার অসহায় মানুষগুলির জন্যে এগিয়ে এসেছেন।