সরকারি-বেসরকারি সব অফিস খুলে গেছে। খুলে গেছে দোকান, বাজার, শপিং মল। কিন্তু লোকাল ট্রেন ও মেট্রো না চলায় চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। লক্ষ লক্ষ অফিসযাত্রী ও সাধারণ মানুষ এই ট্রেনের উপরই নির্ভরশীল। তবে কবে ট্রেন ও মেট্রো চলবে তা এখনও ঠিক হয়নি। কিন্তু রেলওয়ে এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সুরক্ষা বিধি মেনে কীভাবে কলকাতায় মেট্রো চালানো হবে তার কয়েক দফা ট্রায়ালও ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া ডিভিশন কয়েকদিনে সব স্টেশনে সার্ভে করা হয়েছে কীভাবে সুরক্ষাবিধি মেনে ট্রেন চালানো হবে তা খতিয়ে দেখতে।
ট্রেন চালু হলে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বিভিন্ন স্টেশনে সেই সার্ভে করেছেন হাওড়ার রেলওয়ে সুরক্ষাবাহিনীর আধিকারিকরা। ট্রেন চলাচল শুরু হলে মূলত সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, স্টেশনে প্রবেশপথে চেকিং আর অবাঞ্চিত লোকের সমাগম স্টেশনে যাতে না হয়, সেটাই ছিল সার্ভের প্রধান লক্ষ্য। রেলওয়ের ইঙ্গিত অন্যান্য ডিভিশনেও এই ধরণের সার্ভে করা হবে। রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ট্রেন কবে থেকে চালানো হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকারই। তবে রেলওয়ে যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চালাতে প্রস্তুত সেকথাও জানানো হয়েছে। সোমবার রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রেন ও মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকারই। কোনও রাজ্য লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চালাতে চাইলে পরিস্থিতি বিচার করে তার অনুমতি দেওয়া হবে। রেলবোর্ডের তরফ থেকে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। আনলক ওয়ান থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টায় কেন্দ্র এবং রাজ্য। সরকারি বা বেসরকারি অফিস খুলে গেলেও লোকাল ট্রেন এখনও বন্ধ। তাই সরকারি নির্দেশিকা আসার পর লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে সেই ব্যাপারে প্রস্তুতি সেরে রেখেছে হাওড়া ডিভিশন। ট্রেন ও মেট্রো চালানোর বিষয়ে এদিন পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে কোনও কথা জানানো হয় নি। তবে গণ পরিবহনের সঙ্কটে যে মানুষ দুর্খোগে রয়েছেন সে ব্যাপারে সরকার ওয়াকিবহাল। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে বলেছিলেন, আনলক ওয়ান শুরু হলেও তিনি লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চালানোতে এখনই অনুমতি দিচ্ছেন না। তবে এবার তিনি সিদ্ধান্ত বদল করবেন কিনা সেদিকেই সকলের নজর।