× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কলকাতা কথকতা / সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফ আই আর নিয়ে গর্জে উঠলো কলকাতাও, সারা ভারতের নিন্দা

কলকাতা কথকতা

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
(৩ বছর আগে) জুন ২০, ২০২০, শনিবার, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম স্ক্রল ডট ইন এর এক্সিকিউটিভ এডিটর সুপ্রিয়া শর্মার বিরুদ্ধে এফ আই আর এর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাল ফোরাম ফর জার্নালিস্ট অফ ওয়েস্টবেঙ্গল। এর আগে এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া, নেটওয়ার্ক অফ ওমেন জার্নালিস্ট অফ ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে। সাংবাদিকদের কাজের অধিকার নিয়ে গোটা ভারতে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সুপ্রিয়া শর্মার যে রিপোর্টটি নিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ একাধিক এফ আই আর করেছে তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দত্তক নেয়া গ্রাম ডোমরিকে নিয়ে। বারাণসীর কাছে এই গ্রামটিতে গিয়ে পাঁচ জুন সুপ্রিয়া সাক্ষাৎকার নেন মালা দেবী নামের এক মহিলার। মহিলা নিজেকে পরিচারিকা বলে পরিচয় দিয়ে জানান, লকডাউনে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা অভুক্ত অবস্থায়। সরকারের দেয়া চাল ডাল লুট করছেন রাজনৈতিক কর্মীরাই। গোটা ডোমরি ঘুরে সুপ্রিয়া এই হাহাকারই শোনেন।
স্ক্রল ডট ইন এ তাঁর এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তেরো জুন। প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ গ্রাম যোজনা প্রকল্পের একটি গ্রামের করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরেন সুপ্রিয়া শর্মা। সঙ্গে সঙ্গে টনক নড়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের। রামগড় থানায় সুপ্রিয়ার বিরুদ্ধে এফ আই আর করানো হয় মালা দেবীকে দিয়ে। বলা হয়, তাঁর বক্ত্যব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে। তিনি পরিচারিকার কাজ করেন না। তিনি একজন স্যানিটেশন কর্মী। তিনি কখনো বলেননি না খেয়ে আছেন তাঁরা। তিনি যেহেতু একজন অনুন্নত শ্রেণীর মানুষ তাই সুপ্রিয়া শর্মা তাঁর মুখে নিজের ইচ্ছামতো কথা বসিয়ে দিয়েছেন। পুলিশ মানহানি এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের প্রতি উনিশশো উনোআশি সালে প্রণীত বৈষম্যমূলক আচরণের মামলা এনেছে সুপ্রিয়ার বিরুদ্ধে। ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন এই সাংবাদিক। স্ক্রল ডট ইন সুপ্রিয়ার রিপোর্ট টির পাশে দাঁড়িয়ে বলেছে, রিপোর্টে কোন ভুল নেই। চাপে পরে মালা দেবী এই এফ আই আর করেছেন বলেও তাঁদের অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রীর দত্তক নেওয়া গ্রামে লকডাউনে মানুষ অর্ধাহারে আছে, এই সত্য যোগী সরকার মানতে পারেনি বলেই এই সাংবাদিক নিগ্রহ, এই কথা বলছে সাংবাদিক সংগঠনগুলোও।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর