কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে নিতে শুরু করেছে ইউরোপের দেশ জার্মানি। এই প্রতিবেদন লেখাকালীন দেশটিতে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। অপরদিকে প্রথম থেকেই নাগরিকদের সবার মধ্যে এন্টিবডি গঠনের উদ্দেশ্যে প্রথম থেকেই লকডাউন থেকে দূরে ছিল সুইডেন। তবে এখন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এতে খুব অল্পসংখ্যক নাগরিকের মধ্যেই এন্টিবডি সৃষ্টি হয়েছে। যখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ লকডাউন শিথিল করেছে তখন জার্মানিতে কড়াকড়ি চলছেই। নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেয়ায় দেশটিতে বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ৭০০০ মানুষকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। জার্মানির নিউকলিনের মেয়র জানিয়েছেন, তারা নতুন করে এসব সংক্রমণের উৎস খোঁজার চেষ্টা করছেন। এখনো পুরোপুরি তারা নিশ্চিত নন তবে মহামারি এখনো রয়ে গেছে বলে মনে করেন মেয়র মার্টিন হাইকেল।
সুইডেন মহামারি চলাকালীন স্কুল-কলেজ, রেস্তোরাঁ, বার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সব খোলা রেখেছিল হার্ড ইমিউনিটির আশায়। কিন্তু এক গবেষণায় দেখা গেছে দেশটিতে মাত্র ৬.১ শতাংশ মানুষের দেহে এন্টিবডি গঠিত হয়েছে। ফলে এভাবে আর হার্ড ইমিউনিটি অর্জন সম্ভব না বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে সপ্যানিশ সরকার করোনা পরবর্তী সময়ের জন্য ৪.৩ বিলিয়ন ইউরো ঘোষণা করেছে। এই অর্থ ব্যয় করা হবে দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে। দেশটির জিডিপি’র ১২ শতাংশই আসে এ খাত থেকে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ঘোষণা করেছেন ২৮ পয়েন্টের নীতিমালা। এটি স্পেনের মানুষের উদ্যম বৃদ্ধিকে সামনে রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে দেশটির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য। পর্যটকদের করোনা ঝুঁকি থেকে দূরে রাখতেই একটি বিশাল অংক ঘোষণা করেছে স্পেন। ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্ক জানিয়েছে, তারা নাগরিকদের ইউরোপীয় ইউনিয়নজুড়ে ভ্রমণের অনুমতি দেবে। তবে যেখানে এখনো করোনা প্রাদুর্ভাব রয়েছে সেসব অঞ্চল নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। ইউরোপের বাইরেও খুলে যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চল। নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহ থেকেই খুলে যাচ্ছে সেলুন, রেস্তোরাঁ। তবে বিশ্বজুড়ে এখনো বাড়ছে ভাইরাসের সংক্রমণ। ইন্দোনেশিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৩৯ জন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটিই সর্বোচ্চ। ব্রাজিলে একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন ১২৬৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬,৫১০ জনে। এদিকে চীনে একদিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২১ জন। ফলে সংক্রমণ থেমে যাওয়ার পর দেশটিতে মোট আক্রান্ত হলো ১৬০ জন। তবে চীনের দাবি নতুন এ সংক্রমণ তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ লাখের বেশি মানুষ। এরমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার।