কালান্তক করোনা ভাইরাসের দাপটে যুগযুগান্তর ধরে চলা জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা এবার ডিজিটাল যুগে পৌঁছে গেল। রাত পোহালেই মঙ্গলবার রথযাত্রা। কিন্তু পুরী থেকে আরম্ভ করে মাহেশ, কোথাও নেই সেই সাজ সাজ রব। সুপ্রিম কোর্ট এর নির্দেশে সব রথযাত্রাই হবে ভক্তশূন্য ভাবে নিয়মরক্ষার । কোন কোন রথযাত্রার উদ্যেক্তারা আবার ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছেন জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি যাওয়ার উদযাপনে। কলকাতার আলবার্ট রোডের ইসকন মন্দিরের রথযাত্রায় খুব ধুমধাম হয়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা সাফ করেন রথযাত্রার। এবার সেই ইসকন মন্দিরের রথযাত্রা হবে মন্দিরের মধ্যে এক ফুট উচ্ছতার রথের রেপ্লিকা দিয়ে। আলবার্ট রোড এর মন্দিরে সেবাইত ছাড়া কোন ভক্তের প্রবেশাধিকার থাকছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই রথযাত্রা ডিজিটালি পুরোটা দেখতে পারবেন ভক্তরা। মায়াপুর এর শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য ইসকন মন্দিরের রথযাত্রা ভুবনবিখ্যাত। বিদেশি ভক্ত সমাগমে রথ টানা হয় রাজাপুর থেকে চন্দ্রোদয় পর্যন্ত ছ কিলোমিটার পথ। এবার ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। পুরো রথযাত্রাটি হবে ডিজিটালই, ছটি দেশ অংশ নিচ্ছে এই ডিজিটাল রথযাত্রায়। পুরীর পর হুগলির শ্রীরামপুর মাহেশের রথযাত্রা প্রাচীন। ছ শো চব্বিশ বছরের ট্রাডিশন ভেঙে এই রথযাত্রাও এবার ভক্তবিহীন। বেলঘরিয়ার রথতলা কিংবা হাতিবাগান এর মাধব বাড়ির রথযাত্রায় এবার নমো নমো করে। একটি ষাট ন্যানোমিটার এর ভাইরাস জীবনকে, সাবেক, ঐতিহ্যপূর্ণ রথযাত্রাকেও বদলে দিল। মানুষ কত অসহায় !।