পানি, পানি, চারিদিকে পানি কিন্তু এক ফোটাও পান করার জন্য নয়’। দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটা দেশ এত এত পানি সম্পদের মালিক হয়েও তীব্র পানি সংকটের মুখে আজ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে, ভারতের ৩২টি শহরের মধ্যে ২২টি প্রতিদিন পানির ঘাটতির মুখোমুখি হয়। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনেক স্থানীয় বাসিন্দা নগরীর প্রাচীন পাথরের জলাশয় থেকে পানীয় জল পাওয়ার জন্য কয়েক ঘণ্টার জন্য সারিবদ্ধ অপেক্ষা করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পাকিস্তানের করাচিতে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুকনো মৌসুমে ঢাকা শহরের পানি সংকট একটা সাধারণ ব্যাপার। ইসলামাবাদে ২০১২ সালে ভূ-উপরিস্থ পানিরস্তর থেকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ছিল ৫ ফুট, যা ২০১৬ সালে নেমে আসে ৩০ ফুট-এ। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির ভূগর্ভস্থ পানির অত্যধিক আহরণ এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে এ অবস্থা নিরসনে কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপনা করতে বলেছেন। অন্যদিকে কাবুলে অতিরিক্ত পাম্পিংয়ের ফলে হাজার হাজার নলকূপ শুকিয়ে গেছে এবং পানির স্তর প্রতি বছর ১.৫ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে।
ঢাকা, দিল্লি, ইসলামাবাদ, কাবুল কিংবা কাঠমান্ডু, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি রাজধানী শহরেই পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে এবং সঙ্গে সঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ বেড়েই চলছে।
ঢাকার অবস্থা দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বাংলাদেশের রাজধানী এই শহরটিতে জনসংখ্যা বেড়ে চলছে দ্রুতহারে এবং এর সঙ্গে বাড়ছে পানির চাহিদা। এই চাহিদা পূরণ করতে ভূগর্ভস্থ পানিকে ব্যবহার করা হচ্ছে যথেচ্ছভাবে। বর্তমানে ঢাকার ৭৮ শতাংশ পানি আহরণ করা হয় ভূ-গর্ভস্থ উৎস থেকে। ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর গড়ে মাঝে মাঝে এক মিটার বা কখনো ৩০ কিংবা ৪০ সেন্টিমিটার হারে ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। শহরটিতে অধিক জনসংখ্যার আবাসন চাহিদা মেটাতে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন এবং টাওয়ার, আর সেগুলোতে ব্যবহার করা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পগুলো ভূগর্ভস্থ পানিকে টেনে আনছে এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তরকে দ্রুত নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে এ শহরের অগভীর নলকূপে (৫০ থেকে ৭০ ফুট) কোনো পানি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মধ্যম গভীর এবং গভীর কূপ খনন করে পানি উত্তোলন করা হচ্ছে যার গভীরতা ৬০০ থেকে ৮০০ ফুট পর্যন্ত। এক সময় ঢাকার পানির চাহিদার অনেকটা মেটানো হত আশেপাশের নদীর পানি পরিশোধন করে। এখন বুড়িগঙ্গা কিংবা শীতলক্ষ্যা নদীর পানি পরিশোধন অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন শিল্প কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্যে মারাত্মকভাবে দূষিত এসব নদীর পানি। ঢাকার সায়েদাবাদে অবস্থিত পানি পরিশোধনাগারটি এখন পানির উৎস সমস্যায় ভূগছে।
গত বছর, ২০১৯ সালে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৭৮ কোটি ৩০ লাখ মানুষ নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত। জলজ সম্পদের দুর্বল অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা, খরা, বৃষ্টিপাত এবং জলবায়ুর পরিবর্তন পানি সমস্যাকে আরো প্রকট করে তুলছে। অপরদিকে ইউনিসেফ এক জরিপ বলছে, পাকিন্তানে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ সুপেয় পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ লোক পানি সংকটের মধ্যে জীবন-যাপন করে।
মূলত এশিয়ার দেশগুলোতে পানির সমস্যা প্রকট। এশিয়া মহাদেশে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক লোকের বাস, অথচ বছরে জনপ্রতি মিঠাপানির প্রাপ্যতা (৩৯২০ ঘন মিটার) এন্টার্কটিকা বাদে বিশ্বের যে কোনো মহাদেশের তুলনায় কম। আমরা যদি পরিসংখ্যান দেখি তাহলে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বের প্রায় ২১ শতাংশ লোক বসবাস করে। আর এদের মাত্র পৃথিবীর ৮ শতাংশের ব্যবহারোপযোগী পানি ব্যবহারের সুযোগ আছে। ধারণা করা হয়, ১৯৫০ সাল থেকে পানির মাথা পিছু প্রাপ্যতা দিনে দিনে কমে ৮০ শতাংশ থেকে এই ৮ শতাংশে এসে পৌঁছেছে।
একদিকে যেমন পানির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তেমনি কমে যাচ্ছে ব্যবহারোপযোগী পানির উৎস। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পানি ব্যবহারে অব্যবস্থাপনা এবং নদীগুলোতে বাঁধ দিয়ে পানির গতিপথ রোধ। এ কারণে কোথাও কোথাও শুকিয়ে যাচ্ছে অনেক নদী, হারাচ্ছে তার ধারা। মূলত, ভূ-উপরিভাগের পানি দ্বারা পরিচালিত হয় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর। নদী, নালা, খাল, বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামতে থাকে। যখন নলকূপের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানি উঠানোর মাত্রা বেড়ে যায় তখন এ স্তর আরো দ্রুত নিচে নামতে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার নদীগুলো দিন দিন যে হারে শুকিয়ে যাচ্ছে তাতে করে ভূ-উপরিস্থ পানির সঙ্গে ভূ-গর্ভস্থ পানির সমস্যা আরো প্রকট হচ্ছে। চীন, ভারত কিংবা পাকিস্তানে যেমন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পানি নিয়ে বিরোধ বিদ্যমান, তেমনি রয়েছে আন্তঃপ্রদেশ বিরোধ। নদীর পানির হিস্যা নিয়ে পাকিস্তান-ভারত, বাংলাদেশ-ভারত, চীন-ভারত দ্বন্দ্ব প্রায়ই চরম উতকন্ঠার জন্ম দিচ্ছে।
গঙ্গা, সিন্ধু, যমুনা এবং ব্রহ্মপুত্রের মতো আন্তঃসীমান্ত নদীগুলো বহু শতাব্দী ধরে দক্ষিণ এশিয়ার ভূগোল, ইতিহাস এবং সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে এবং এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্য ও জ্বালানি সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু, নদীগুলোর পানির প্রাপ্যতা নিয়ে আন্তঃ এবং আন্তঃদেশীয় কোন্দল লেগেই আছে। ভারতের দিল্লি, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের অধিবাসীরা সুতলেজ এবং যমুনা নদী ও তার শাখা প্রশাখার পানির উপর নির্ভরশীল। পানির ভাগাভাগি নিয়ে এসব রাজ্যগুলোর মধ্যে লেগে আছে বিরোধ। সকলেই চায় পানিকে নিজের কবলে রাখতে এবং এটি করতে গিয়ে নদীর গতি বিঘ্নিত হচ্ছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে হারিয়ে যাচ্ছে শাখা নদীগুলো। পানি নিয়ে বিরোধ চলছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ এবং বিহারের মধ্যে এবং এর সঙ্গে যোগ হয়েছে উত্তর প্রদেশের বেত্রা নদীর রাজঘাটে বাঁধ নির্মাণ বিতর্ক। ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের প্রদেশগুলোর মধ্যেও চলছে পানি নিয়ে কাড়াকাড়ি ও বিরোধ। পাকিস্তানের কালাবাগ বাঁধ যা পাঞ্জাবের জন্য কল্যাণকর হতে পারে কিন্তু খাইবার, পাখতুনখোয়া এবং সিন্ধু প্রদেশ মনে করে এ বাঁধ তাদের পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে। দক্ষিণ এশিয়ার দু’টি বড় দেশ ভারত এবং পাকিস্তান যখন পানি নিয়ে নিজ দেশের মধ্যেই এত বিরোধে জর্জড়িত সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে জমে থাকা বিরোধ মিটানো অনেক কঠিন বলে মনে হয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে পানির হিস্যা নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মনোমালিন্য প্রকট আকার ধারন করে যখন ভারত ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে গঙ্গার পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার করা শুরু করে। বাংলাদেশের জনগণ প্রতিবেশী দেশের এমন আচরণে হতাশ হয়, বাড়ে অবিশ্বাস এবং প্রতিবাদস্বরূপ তখন ফারাক্কা অভিমুখে লং মার্চ পর্যন্ত আয়োজিত হয়। বর্তমানে তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে বার বার পদক্ষেপের কথা আসলেও বিষয়টিতে ভারতের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশের জনগণ। উজানে অবস্থিত দেশ আফগানিস্তান এবং নেপাল ভাটিতে অবস্থিত ক্ষমতাধর দেশগুলোকে জলাধার-এর জন্য অবকাঠামো নির্মাণে অন্তরায় বলে মনে করে। অনেকাংশে পানি বিরোধে জড়ানো দেশগুলোর জনগণও একে অপরের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। তেমনটাই দেখা যায়, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে। আফগানিস্তানের জনগণ মনে করে তাদের দেশে ‘পানিযুদ্ধ’ চলমান অপরদিকে পাকিস্তানের জনগণ চায় আফগানিস্তানের সঙ্গে পানি সমস্যার এখনই একটা সুরাহা। এভাবে পানি নিয়ে শুধু কাড়াকাড়ি চলতে থাকলে এবং সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে সংকট আরো ঘণীভূত হবে এবং দিনে দিনে হারিয়ে যাবে পানির উৎসগুলো। তাহলে করনীয় কি? যেহেতু পানির সমস্যাটা আন্তঃ এবং আন্তঃরষ্ট্রীয় তাই সমাধান খুঁজতে হবে ভিতর এবং বাহির দু’দিক থেকেই। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রসমূহকে সমাধান কিংবা প্রতিরোধমূলক কূটনীতি জোরদার করতে হবে। এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রকে জলাধার সৃষ্টির মাধ্যমে পানি সংরক্ষণে সহায়তা করতে পারে। অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম রাষ্ট্র যদি সংক্ষুব্ধ রাষ্ট্রকে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদান করে, সেক্ষেত্রে যেমন পানির টেকসই ব্যবহার সম্ভব তেমনি আন্তঃরন্ত্র সংঘাত কিংবা সহিংসতাও কমে যায়।
পানি জীবন ও প্রকৃতির জন্য একটি অবশ্য প্রয়োজনীয় উপাদান। তাই, পানিকে রাষ্ট্রের সুরক্ষা নীতি পরিকল্পনায় (ংবপঁৎরঃু ঢ়ড়ষরপু ঢ়ষধহহরহম) অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন। সেক্ষেত্রে প্রতিরক্ষার সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলো জলাধার নির্মাণ ও সংরক্ষণে যেমন কাজ করতে পারে তেমনি পানি নিয়ে সংঘাত বন্ধেও ভূমিকা রাখতে পারে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পানি নিয়ে আন্তঃসীমান্ত বিরোধ মেটানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যমান সংস্থা বা জোট কাজ করতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে ‘সার্ক’ ভূমিকা রাখতে পারে, তবে তার আগে এ ফোরামটিকে কার্যকরী করতে হবে। সংঘাত নিরসন কিংবা সংঘাত এড়িয়ে চলার নীতি নিয়ে আন্তঃরাষ্ট্র এবং আন্তঃরাষ্ট্র পানি সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে, পানির টেকসই ব্যবস্থাপনা হতে পারে সংকট সমাধানের আরেকটি কার্যকরী পদক্ষেপ। পানি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অবকাঠামো তৈরি এবং এ সম্পর্কিত গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে, যাতে সীমিত সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সকলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পানির অপচয় রোধ এবং এর উৎসগুলোকে সংরক্ষণ করা যায়। পানির টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং এর সুরক্ষার জন্য এর ব্যবহারে পরিবর্তন আনতে হবে। বিশেষ করে কৃষিকাজে পানির ব্যবহার কমাতে স্বল্প পানিতে চাষাবাদ উপযোগী ফসলের জাত উদ্ভাবন করতে হবে। পানিকে বিশুদ্ধকরে পুনঃব্যবহারের জন্য উন্নত পদ্ধতির প্রয়োগ পানির সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে পারে।
পানির যথাযথ ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন জাতীয় কিংবা আঞ্চলিক পরিমন্ডলে যথাযথ নীতিমালা এবং কৌশল প্রণয়ন এবং এজন্য দরকার সংলাপ আয়োজন। রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে যতই বৈরি সম্পর্ক থাকুক না কেন, অস্তিত্বের প্রশ্ন মনে করে হলেও কূটনীতিক শিষ্টাচার মেনে সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বসতে হবে এবং উভয় পক্ষের মঙ্গল হয় এমন একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
২০১২ সাল পরবর্তী অত্যাসন্ন পানি সমস্যার প্রেক্ষাপটে যে জলবায়ু চুক্তি হয়, তার বাস্তবায়নের মাধ্যমেও পানি সংকটের কিছুটা সুরাহা সম্ভব। বিশ্ব উষ্ণায়নের নির্দোষ শিকার দক্ষিণ এশিয়া। বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেও দিন দিন বাড়ছে পানি সংকট। চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলো যদি গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা শুরু করে তাহলে পানিকে ঘিরে চলমান ও আসন্ন বিপদ থেকে কতকটা রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
সমস্যা সমাধানের প্রেশক্রিপশন অনেকভাবেই হতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি দরকার সদিচ্ছা। উজানে পানির উৎসে বসে থাকা রাষ্ট্রের তৃপ্তির ঢেঁকুর গিলার কোনো সুযোগ নেই যে সে খুব নিরাপদে আছে। পানির অভাবে পরিবেশ প্রতিবেশে সাধিত ক্ষতি কিংবা জনস্বাস্থের উপর এর প্রভাব কোনো নির্দিষ্ট দেশ কিংবা অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না, এটি ছড়িয়ে পড়বে উজান ও ভাটির সর্বত্র। তেমনি ভাটির দেশগুলোকে নিতে হবে পানি সংরক্ষণের কার্যকরী ব্যবস্থা এবং খুঁজতে হবে পানির হিস্যা আদায়ের সন্তোষজনক উপায়। আর এভাবেই সংকটের সমাধান করতে সকল দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
ড. এ,এস,এম সাইফুল্লাহ
অধ্যাপক, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগ।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল।