ইন্সটাগ্রামের সব থেকে জনপ্রিয় মডেলদের একজন কাইলি জেনার। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে সব থেকে বেশি অনুসারী থাকা তারকাদের মধ্যে তার অবস্থান ৪র্থ। প্রায় ১৮৩ মিলিয়ন ‘ফলোয়ার’ বা অনুসারী নিয়ে ইন্সটাগ্রামে নারীদের মধ্যে তার অবস্থান দ্বিতীয়। এখানে তিনি নিজের লাইফস্টাইল, পরিবার, বন্ধু ও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যবসার প্রচারণা চালিয়ে থাকেন।
তিনি কার-জেনার পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য। কাইলি কসমেটিকসের প্রতিষ্ঠাতা কাইলি জেনার তার পণ্যের বিজ্ঞাপন নিজেই করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যখনই নতুন কোনো পণ্য বের করে তার কোমপানি, তিনি সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাটকীয়ভাবে প্রচার করে থাকেন। তবে সমপ্রতি নতুন এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন এই তারকা।
যে বাংলাদেশি কোমপানি তার জেনার ক্লোথিং লাইনের পণ্য প্রস্তুত করে থাকে তাকে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করা হয়নি। ফলে ওই গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বেতন পাননি। একইসঙ্গে, করোনাভাইরাসের কারণে জেনার ক্লোথিং কোমপানি তাদের সকল ক্রয়াদেশও বাতিল করে দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও লস অ্যানজেলেস উভয় স্থানেই তার কর্মীদের ছাঁটাই করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে- এমন কোনো ঘোষণাও দেয়া হয়নি। তার এমন সিদ্ধান্তের কারণে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগই নারী।
এই ইস্যুটি প্রকাশিত হতেই জেনারের ভক্তরা এর প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। এ জন্য তারা বেছে নেন কাইলি জেনারের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টের কমেন্ট অপশনকে। এতে শ্রমিক ও কর্মীদের বেতন দেয়ার জন্য কাইল জেনারের ওপর চাপ দিতে থাকেন তারা। প্রয়োজনে তিনি যাতে তার ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে এই অর্থ পরিশোধ করবেন এমন দাবিও তোলা হচ্ছে। একজন তাতে লেখেন, কেনো আপনি বিদেশি শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছেন না এবং বৈশ্বিক মহামারির সময়ে নিজের চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধা দেখাচ্ছেন না! আরেকজন লেখেন, ইন্সটাগ্রামে নিজের নতুন নতুন পণ্য প্রদর্শন না করে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন দিন। শ্রমিকদের চিকিৎসা ভাতাটাও দিচ্ছেন না আপনি।
এসব সমালোচনার মুখে এখনো চুপ রয়েছেন কাইল জেনার। উল্টো তিনি সমালোচনামূলক কমেন্ট ডিলিট করতে শুরু করেছেন। অনেকেই অভিযোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলায় তাদের কমেন্ট ডিলিট করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে তার অ্যাকাউন্টে কমেন্ট করার অপশনও কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে তাতে থেমে নেই ভক্তরা। তারা জেনারের বোন কেন্দালের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গিয়ে একই দাবি জানাতে থাকেন।