× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সোলার বিপ্লব কুলিয়ারচরে

এক্সক্লুসিভ

মুহাম্মদ শাহ্‌ আলম, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনি
২৬ জুন ২০২০, শুক্রবার

 কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের দশকাহুনিয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে অবস্থিত গ্রামগুলোতে মোট ৪ টি সোলার পাম্প স্থাপন করে কৃষি জমি সেচের আওতায় আনা হয়েছে। এতে উপজেলার প্রায় ৭৪ একর জমিতে সোলার পাম্পের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা হওয়ায় বোরো ধান সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করতে পেরে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন।
কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। জীবন-জীবিকার পাশাপাশি দেশের সার্বিক উন্নয়নে কৃষি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কৃষকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে স্বল্পমূল্যে বারিড পাইপ (ভূ-গর্ভস্থ’ সেচনালা)’র মাধ্যমে কোনোরকম পানির অপচয় না করে কৃষি জমি চাষাবাদের জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ অঞ্চলে ৪টি সোলার পাম্প স্থাপন করেন।
সোলার পাম্প স্থাপনের ফলে বেশকিছু অনাবাদি জমি এখন আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। চারদিকে চলছে বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের আবাদ। স্বল্পমূল্যে সেচ সুবিধা পেয়ে কৃষকরাও ফসলের জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, আগে মেশিন দিয়ে পানি দেয়ার কারণে সেচে খরচ অনেক বেশি হতো। এখন আগের চেয়ে খরচ অনেক কম হয়।
আগে এ অঞ্চলে পানি দেয়ার তেমন সুব্যবস্থা ছিল না। তাই বোরোসহ অনেক ফসলই আবাদ হতো না। এখন বিএডিসি’র সোলার পাম্প পেয়ে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।
শস্য উৎপাদনে সেচের জন্য আর ডিজেল বা বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করতে হয় না। ডিজেল চালিত স্যালো মেশিনের পরিবর্তে সোলার পাম্পের সুবিধা পেয়ে আবাদ করে আগের চেয়ে অনেক লাভবান হচ্ছি আমরা।
সোলার পাম্প প্রকল্প প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম বলেন, এ উপজেলার দশকাহুনিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বৈদ্যুতিক পাম্পের সেচ সুবিধা ছিল না। যে কারণে চাষাবাদও কম হতো। কৃষকরা ডিজেলের সাহায্যে সেচ কাজ করতে গিয়ে যে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতেন, তা এখন সোলার পাম্পের সেচ করতে পেরে অনেক লাভবান হচ্ছেন।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় কুলিয়ারচর উপজেলায় ৪টি সোলার পাম্পে ১টি প্রক্রিয়াধীনসহ কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ১০টি সোলার পাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
কুলিয়ারচর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল জানান, এখানকার কৃষকরা আগে পানির অভাবে ফসল ফলাতে পারতো না। এখন ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সোলার পাম্পের মাধ্যমে স্বল্প খরচে কৃষকরা ফসল ফলাতে পারছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সোলার পাম্প দিয়ে সেচ ব্যবস্থার মাধ্যম কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে। তারা অল্প টাকায় জমিতে সেচ দিতে পারছে। এতে আবাদ ও ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর