× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

'যৌনতার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই'

বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক
২৭ জুন ২০২০, শনিবার

এই লড়াই গত কয়েক দশকের। একটি নামী প্রসাধনী প্রডাক্টের নাম বদল করে দিলেই আগামী দিনের ছবিটা যে পুরো বদলে যাবে, সেটা ভাবাও ঠিক নয়। তবু ‘ব্ল্যাকলাইভসম্যাটার’-এর ঝড়ে একটি বড়সড় পরিবর্তনের সাক্ষী থাকবে ভারত।
ফর্সা হওয়ার জনপ্রিয় ক্রিমের নামে ‘ফেয়ার’ শব্দটি বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার সং‌স্থা। ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের গায়ের রং ফর্সা নয়। তবু ঔপনিবেশিক মানসিকতা এবং জাতিগত বৈষম্যের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে সৌন্দর্যের মাপকাঠি ফর্সা হওয়া। গায়ের রঙের জন্য শ্যামবর্ণা মেয়েদের যে ভাবে নানাবিধ লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়, তা ২০২০তেও সিরিয়াল-সিনেমা বানানোর উপজীব্য হয়ে ওঠে।
গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিও এই বর্ণ বৈষম্যের ঊর্ধ্বে নয়। বিশেষত, যখন ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেত্রীরা ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন করেন, তখন প্রতিবাদের ভাষা তার শান হারায়।
নাম বদলের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরে শ্যামবর্ণা বলিউড অভিনেত্রী বিপাশা বসু নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমাকে মায়ের মতো দেখতে। আমার মা শ্যামবর্ণা। সুপারমডেল প্রতিযোগিতায় জেতার পরে আমাকে লেখা হল ‘ডাস্কি’ বিউটি’। এই ‘ডাস্কি’ শব্দটা কেমন ভাবে যেন আমার সাফল্যের সঙ্গে জুড়ে গেল। নিউ ইয়র্ক, প্যারিসে যখন ফ্যাশন শো করতে গিয়েছি, গায়ের রঙের জন্যই হয়তো বেশি নজর কেড়েছি। যখন বলিউডে কাজ করা শুরু করলাম, তখনকার তথাকথিত সুন্দরী অভিনেত্রীদের সঙ্গে আমার ফারাক করা হত। আমার ‘যৌন আবেদন’-এর চাবিকাঠি নাকি ছিল গায়ের রং। আমার মতে, যৌনতার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। গত আঠারো বছরে ফেয়ারনেস ক্রিমের অনেক এনডর্সমেন্ট পেলেও প্রস্তাব গ্রহণ করেননি অভিনেত্রী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর