× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মিশর সরকারের আহ্বান / করোনাকালে সন্তানধারণ নয়

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জুন ৩০, ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:০১ অপরাহ্ন

করোনা ভাইরাস মহামারিকালে সন্তান ধারণ না করতে নারীদের উৎসাহিত করেছে মিশর সরকার। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এমন আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এ সময়ে সন্তান ধারণ করা থেকে বিরত থাকতে বা স্থগিত রাখতে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সন্তান ধারণ করা বিলম্বিত করা অত্যাবশ্যক। কারণ, এই ভাইরাস সংক্রমণ হলে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। তাতে প্লাসেন্টা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং এতে মানবভ্রুণের পুষ্টি বিঘিœত হতে পারে। তাছাড়া কোনো নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে এমনিতেই তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
এর ফলে অন্তঃসত্ত্বা নারী এই ভাইরাসের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবেন। তাই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাময়িক সময়ের জন্য সন্তান ধারণ থেকে বিরত থাকতে গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা ব্যবহার করা যেতে পারে। মন্ত্রণালয় বলেছে, ইমপ্লানন ক্যাপসুলসহ জন্মবিরতিকরণের বিভিন্ন পদ্ধতি সরবরাহ করছে দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক ইউনিট। ইমপ্লানন ক্যাপসুল সেবন করলে এর কার্যকারিতা তিন বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এটি ব্যবহারও সহজ। প্রয়োজন হয় না কোনো অপারেশন। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চিকিৎসকদের তিন মিনিটেরও কম সময় লাগে। এ ওষুধটি মিশরীয় ০.৩০ পাউন্ডে বিক্রি হয়। এটা সেবন করতে পারবেন বুকের দুধ পান করানো নারীও।
এছাড়া অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নারীদের সক্রিয় থাকতে, বিশ্রামে থাকার উপর গুরুত্বারোপ করেছে। এক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা নারীর জন্য উত্তম শরীরচর্চা হিসেবে হাঁটাহাঁটি করতে বলা হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের এই সময়ে অন্তঃসত্ত্বাদের ঘরের বাইরে না যেতে বলা হয়েছে। মিশরের ডাক্তার জয়নাব আবদেল মিগুইড (৪০) বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি সঠিক। তবে এটা আরো আগে ইস্যু করা উচিত ছিল। কারণ, মিশরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। সরকারি চাকরি করেন ওয়াগিদা আবদেল লতিফ। তিনি বলেছেন, সরকারের এই ঘোষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, করোনা ভাইরাসের কারণে এমনিতেই মিশরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক চাপ পড়েছে। হাসপাতালগুলো রোগীদের জায়গা দিতে পারছে না। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর