করোনাভাইরাসের হটস্পট নারায়ণগঞ্জে নতুন করে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২১ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ১৬৯ জন। তবে এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫৭৪ জন। এরমধ্যে একদিনেই সুস্থ হয়েছেন ৬১২ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১১৪ জন।
বুধবার (১ জুলাই) সকালে সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (১ জুলাই) সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এই তথ্য জানা যায়। নতুন করে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৭ জন ও সদরে ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রমতে, নাসিক এলাকায় মারা গেছেন ৬১ জন ও আক্রান্ত ১ হাজার ৮২৪ জন, সদর উপজেলায় মারা গেছেন ২২ জন ও আক্রান্ত ১ হাজার ২১২ জন, বন্দর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮১ ও মারা গেছেন ৩ জন, এছাড়া আড়াইহাজারে আক্রান্ত ৪৮৩ ও মারা গেছেন ৪ জন, সোনারগাঁয়ে আক্রান্ত ৪৫৩ ও মারা গেছেন ১৪ জন এবং রূপগঞ্জে মারা গেছেন ১০ জন ও ১ হাজার ১৬ জন আক্রান্ত।
করোনা আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন মোট ৩ হাজার ৫৭৪ জন। তার মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১ হাজার ২৪৫ জন, সদর উপজেলার ৯৯২ জন, রূপগঞ্জের ৫৪০ জন ও আড়াইহাজারের ৩৬৫ জন, বন্দরের ১১৭ ও সোনারগাঁয়ের ৩১৫ জন।
উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জে ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জে।
৩০ মার্চ প্রথম নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রসুলবাগে করোনার উপসর্গ নিয়ে পুতুল নামে এক নারী মারা যায়। ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জকে করোনার হটস্পট ঘোষনা করা হয়। এরপর ৮ এপ্রিল সকাল থেকে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করেন আইএসপিআর। কিন্তু ধীরে ধীরে প্রশাসনের উদাসীনতায় মুখ থুবড়ে পড়ে লোকডাউন। পরবর্তীতে ৭ জুন দুপুরে নতুন করে শহরের আমলাপাড়া, জামতলা ও ফতুল্লার রূপায়ন টাউনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে রেড জোন ও লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসন। কিন্তু তিনদিনের মাথায় এ কার্যক্রমও ভেস্তে যায়। রীতিমত সমালোচনার ঝড় উঠে। ফলে প্রত্যাহার করে নেয়া হয় তিন এলাকার লোক ডাউন। এরপর ২৩ জুন নারায়ণগঞ্জের ১৯টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে এসব এলাকার ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় জানতে করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।