পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাকলাইন মুশতাক বিয়ে করেন ১৯৯৮ সালে। পরের বছর ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলতে গেলেন। টুর্নামেন্টের মাঝপথে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিয়ম করলো, টিম হোটেলে বউকে আর সঙ্গে রাখতে পারবে না খেলোয়াড়রা। সাকলাইন কথা শুনলেন না। নির্দেশনার পরও বউকে রাখলেন টিম হোটেলে। এরপর একদিন কক্ষ পরিদর্শনে এলেন পিসিবির ক’জন কর্মকর্তা। তাদের হাত থেকে বাঁচতে সেদিন কী করেছিলেন সাকলাইন?
দরজায় টোকা পড়ার পর পরই বউকে দ্রুত আলমারির ভেতর ঢুকে যেতে বলেন সাকলাইন। এ যাত্রায় রক্ষা পান।
রওনক কাপুরের শো ‘Beyond The Field’-এ সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সাবেক এই অফস্পিনার বলেন, ‘ম্যানেজার, কোচ প্রায়ই আমাদের রুম চেক করতে আসতো। আমাদের সতীর্থরাও আসতো মাঝে মাঝে আড্ডা দিতে। তো একদিন দরজায় টোকার আওয়াজ পেলাম। আমার স্ত্রীকে বললাম আলমারির ভেতর লুকাতে। ম্যানেজার এলেন, দেখলেন এবং চলে গেলেন। আরেকজন কর্মকর্তা এলেন, তিনিও ফিরে গেলেন। আমার স্ত্রী তখনো আলমারির ভেতর। এরপর আজহার (মাহমুদ) ও ইউসুফ এলো আমার সঙ্গে নতুন নিয়মের বিষয়ে কথা বলতে। তারা বুঝে ফেললো যে আমার স্ত্রী ঘরেই আছে। তাদের কাছে হার মেনে আমি আমার স্ত্রীকে বেরিয়ে আসতে বললাম।’
পরে কায়দা করে ব্যাপারটা পিসিবি অফিসিয়ালদের থেকে আড়াল করেছিলেন সাকলাইন। টুর্নামেন্টে তিনিই ছিলেন পাকিস্তানের সেরা বোলার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকসহ ১০ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। কিন্তু বিশ্বকাপ ট্রফিটা রেখে আসতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার হাতে।